কুষ্টিয়ার বিখ্যাত সোনালী বিড়ি ফ্যাক্টরীতে তালা
ঝিনাইদহের চোখ-
কুষ্টিয়ায় সোনালী বিড়ি ফ্যাক্টরীতে দিনে-দুপুরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ফ্যাক্টরীর মালিক তাপস কুমার সাহা’র অভিযোগ, ফ্যাক্টরীতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ওই বিড়ি ফ্যাক্টরীতে কর্মরত প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিকরা হয়ে পড়েছে কর্মহীন। কর্ম হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা তাপস কুমার সাহা দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সোনালী বিড়ি ফ্যাক্টরী লি. নামের প্রতিষ্ঠানটি ভোগদখল করে আসছে। ২০১১ সালের ২২ মার্চ সুনিল কুমার সাহা স্টাম্পে লিখিত মাধ্যমে তার বাংলাদেশী সকল সম্পত্তি তার কনিষ্ঠ পুত্র তাপস কুমার সাহা’র নামে হস্তান্তর করেন। তারপর থেকেই সোনালী বিড়ি ফ্যাক্টরী পরিচালনা করে আসছে তাপস কুমার সাহা। সেখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু গত ২৯ জুলাই বিকেলে হঠাৎ করে জোরপূর্বক ভাবে ফ্যাক্টরীতে ঢুকে ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফ্যাক্টরীতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া আদালতের স্বরণাপন্ন হলে আদালত ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছে।
ফ্যাক্টরীর মালিক তাপস কুমার সাহা জানান, আমার পিতা সুনিল কুমার সাহা তার জীবদ্দশায় ঐ সম্পত্তি আমার নামে বন্টন করে দিয়ে যায়।
তাপস কুমার সাহা আরো জানান, বিশুর দাবী, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসরত আমার ভাই সঞ্জয় কুমার সাহা নাকি তাকে ফ্যাক্টরীর সম্পত্তি ভোগ দখলের পাওয়ার অব এ্যার্টানী দিয়েছেন।
তাপস কুমার সাহা’র অভিযোগ, জোরপূর্বক ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া সোনালী বিড়িফ্যাক্টরীটি বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত তারা। তার উপর এমন মানবেতর জীবন যাপন তাদের জীবনকে আরো বিষিয়ে তুলছে।
এ ব্যাপারে ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম লালু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে অভিযুক্ত বিশু দাবি করেন, আইন মেনেই ওই সম্পত্তি দখল নিয়েছেন তিনি।
ওসি শাহ জামাল এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান কয়েকদিন আগে ফ্যাক্টরিতে তালা লাগানোর কথা শুনেছি তবে এটি আমার কোনো বিষয় নয় এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়