গাছের কি অপরাধ ?
সাবজাল হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
২৩ বছর আগে বিজিবি’র চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছি। এখন বাড়িতে এসে ফলের চাষ করছি। মাঠে আমার প্রায় ৭ বিঘা জমিতে দেশী বিদেশী বিভিন্ন ধরনের ফলের ক্ষেত রয়েছে। এর মধ্যে মাঠের একপাশে প্রায় ৪৮ শতকের একটা জমিতে দার্জিলিংয়ের কমলা ও থাই পেয়ারার চাষ করেছিলাম। প্রায় ১ বছর ধরে গাছগুলো লালন পালনের মাধ্যমে বেশ তরতাজা হয়ে উঠেছিল। কিন্ত সোমবার ভোর রাতের দিকে কে বা কারা আমার ক্ষেতের বেশিরভাগ ফলের গাছগুলোর কলমের গোড়া থেকে ভেঙে দিয়েছে। বাকিগুলো দুমড়ে মুচড়ে রেখে গেছে। এখন এ কলম থেকে আর চারা হওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন,আমিতো কারও ক্ষতি করিনি। কিন্ত কে আমার এমন ক্ষতি করলো। এতে আমার ক্ষতি হয়েছে। কিন্ত যে দুষ্টু প্রকৃতির মানুষগুলো এটা করেছে তাদের কি লাভ হয়েছে। কথাগুলো বললেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রাড়িপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ ফলচাষী মশিয়ার রহমান। তিনি ওই গ্রামের ফেলু মোল্যার ছেলে।
ফলচাষী মশিয়ার রহমান জানান, তিনি ১৯৯৭ সালে বিজিবি’র চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতে এসে ফল চাষ করছেন। এ চাষে সাফল্যও এসেছে। এ কারনে এলাকার মানুষ আমাকে একজন ফলচাষী হিসেবে চেনেন। কিন্ত এ কেমন শত্রæতা ? আমার একবিঘা ব্যয়বহুল দার্জিলিং লেবুর ১০৫ টি ও থাই পেয়ারার তরতাজা গাছের কলম ভেঙে দিয়েছে। প্রতিটি কলমের চারা প্রায় দুইশত টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। এরপরও জমি তৈরী ও পরিচর্যা খরচ তো রয়েইছে। কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোষ যদি করে থাকি াামি করেছি কিন্ত গাছের কি অপরাধ। কারা এমন ক্ষতি করলো তা আমি দেখিনি। ফলে কাউকে দোষারোপও করা যাচ্ছে না। তারপরও আমি থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি। পুলিশ ইতোমধ্যে আমার ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আইয়ুব হোসেন জানান, তাদের গ্রামের মশিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করে আসছেন। তার পরামর্শে গ্রামের অনেক কৃষক ফলচাষে ঝুঁকেছেন। কিন্ত তার ক্ষেতের গাছগুলোর যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আমাকে জানানোর পর স্থানীয় তত্বিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে ওই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরও বলেন,কৃষকের ভরা ক্ষেত নষ্ট করলে সে ক্ষতি পুশিয়ে উঠার নয়। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেই ব্যবস্থা নিবেন।