জনস্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছি— রাশেদ মাজমাদার
ঝিনাইদহের চোখ-
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। ইতিহাস, ঐতিহ্যে ভরা এ জেলায় রাজনৈতিক সহাবস্থানের নজির নেই বললেই চলে। জেলায় দেশের বড় সবগুলো রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড লক্ষ করার মতো। সমস্যা, সংকট ও প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিভিন্ন দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড এখানে চলমান। ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর যশোর থেকে আলাদা হয়ে আত্মপ্রকাশ করা এ জেলার সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরেছেন তারেক মাহমুদ
সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা আর মন্দ কাজের বিরোধিতায় সক্রিয় জাতীয় পার্টি- এমন দাবি করে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাজমাদার বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে সংসদের বিরোধী দল হলো জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদে ও রাজপথে সরকারের জনস্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের সমালোচনা ও প্রতিবাদ করে থাকে জাতীয় পার্টি। কেন্দ্রের সেই ধারা অনুযায়ী ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় পার্টি জনস্বার্থবিরোধী সব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে। এসব কর্মসূচির কারণে জেলায় জাতীয় পার্টির আলাদা অবস্থান রয়েছে। মহজোটভুক্ত দল হলেও পার্টির নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডে স্থানীয়রা বেশ আশাবাদী।
নব্বইয়ে এরশাদ সরকারের পতনের পর জাতীয় পার্টি ঝিনাইদহে উলেস্নখযোগ্য তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেনি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে লাঙলের প্রার্থীরা বরাবরই হাতে-গোনা ভোট পেয়েছে। দু’বছর আগে দলের জেলা সভাপতি একটি ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হারুনূর রশিদ আওয়ামী লীগে যোগদান করায় দলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সাংগঠনিকভাবে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে জেলা জাতীয় পার্টি।
সরকারের মন্দ কাজের সমালোচনা করায় কেনো রকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে রাশেদ মাজমাদার বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। সে কারণে জাতীয় পার্টির কোনো কর্মসূচিতে বাধা আসে না। দুই দলের নেতাদের মধ্যে কমবেশি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা প্রয়োজনে যতটা আন্তরিক অন্যান্য সময়ে তা দেখা যায় না।
মহাজোটভুক্ত দল হওয়ার পরও জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারি কোনো কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ করে না অভিযোগ করে রাশেদ মাজমাদার বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সুদিন-দুর্দিনে কখনোই আমাদের কোনো খোঁজ রাখে না। ফলে জেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মর্মাহত। আওয়ামী সরকারের দীর্ঘসময়ে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে কী -এমন প্রশ্নে রাশেদ মাজমাদার বলেন, আমরা বৈধ বা অবৈধ পথের কোনো সুযোগ গ্রহণ করার চেষ্টা করি না। নিজেদের যা প্রাপ্য তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকি।
ঝিনাইদহ জাতীয় পার্টিতে কোনোরকম গ্রম্নপিং-কোন্দল নেই দাবি করে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলার সব উপজেলায় জাতীয় পার্টি ও ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। সাংগঠনিক ও জাতীয় সব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সংগঠনের নেতাকর্মীরাও চাঙা রয়েছে। তারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ ধারণ করে সামনের পথে এগিয়ে চলেছে।