রূপবান শিম চাষে হাসে ঝিনাইদহের কৃষক
ঝিনাইদহের চোখ-
শিম শীতকালীন সবজি। তবে এখন সারা বছরই কমবেশি এই শীতের সবজি পাওয়া যায়। আগাম জাতের শিম চাষ করে কৃষক লাভবানও হচ্ছেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম রূপবান জাতের শিম। যা বাজারে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। ফলে রূপবান চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক কৃষক আগাম জাতের এ শিম চাষ করেছেন। উপজেলার বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ের গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে। মাঠের পর মাঠ শিম আবাদ হয়েছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।
মাশলিয়া গ্রামের শিম চাষি রকিবুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে রূপবান জাতের লাল শিম লাগিয়েছেন। দেড় বিঘা জমিতে সার, সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি দু’দফায় ৫ হাজার টাকার শিমও বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ৭০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছেন। অবশ্য খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছেন।
আগাম জাতের এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ৬ মাসে তিনি ৫০-৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে। শীতের সময় শিমের দাম কমে যায়। তখন কৃষকদের ১০-১৫ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হয়। সব মিলিয়ে খরচ খরচা বাদে তার ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান চাষি রকিবুল।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান ২ বিঘা জমিতে, একই গ্রামের বাহার আলী দেড় বিঘা জামিতে, নিত্যানন্দী গ্রামের কামরুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে, জাহাঙ্গীর হোসেন আড়াই বিঘা জমিতে, গৌরিনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন দেড় বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষি শিমের আবাদ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষিদের সার, বীজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সার্বিক ভাবে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।