সেই দরিদ্র কিশোরের পাশে দাঁড়ালেন মেয়র মিন্টু
সাবজাল হোসেন, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ফয়লা মাস্টার পাড়ার দরিদ্র কিশোর তপন দাস। কালীগঞ্জ সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ হাইস্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু গাড়িচালক বাবার অসুস্থতায় পড়াশোনা চালাতে পারেনি সে। অভাবের সংসারে কিছুটা অবদান রাখতে রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ শুরু করে তপন।
এ নিয়ে চলতি বছরের ২৮ জুন ডেইলি বাংলাদেশে ‘জিপিএ ৫ পেয়েও রাজমিস্ত্রির কাজে, লেখাপড়া অনিশ্চিত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে পড়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেলের। এরপরই হতদরিদ্র তপন দাসের পাশে দাঁড়ান তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে তপন দাসের হাতে বই কেনা ও কলেজে ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা করেন মেয়র মিন্টু ও মেম্বার সোহেল।
দরিদ্র তপন দাস বলেন, এতদিন রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করেও লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। কাজ করে অল্প কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। বাকি টাকা কোথায় পাবো সেই চিন্তায় ছিলাম। এমন সময়ে সাহায্য পেলাম, আমার খুব উপকার হয়েছে।
তপনের মা সুমিত্রা দাস বলেন, আমাদের নিজেদের কোনো জমি নেই। পরের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। আমার অন্য ছেলেরাও দিনমজুর। অভাবের সংসারে অসুস্থ স্বামী কোনো কাজ করতে পারে না। আমিও পরের বাসায় কাজ করি। সংসার চালাতে ও নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ছোট ছেলে তপনকেও রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করতে হয়। তার লেখাপড়ার জন্য যারা সাহায্যের হাত বাড়ালেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, তপন মেধাবী ছাত্র। অভাবের কারণে তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে ভাবতেই খারাপ লাগছিল। এ কারণে সাধ্যমতো সাহায্যের চেষ্টা করেছি।