ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদার বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখ-
“শিক্ষকঃ সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যতের ভাবনা” এই স্লগান কে প্রতিপাদ্য করে যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহে পালিত হোল বিশ্ব শিক্ষক দিবস। রোজ সোমবার ৫ ই অক্টোবর সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি মুহঃ আব্দুল মমিনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন যে আজ সারা বিশ্বে ১০০ টি দেশে শিক্ষক দিবস পালিত হচ্ছে কিন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে সরকারী ভাবে এই দিবসটি পালিত হয় না। শিক্ষকদের নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও জ্ঞান মহান বিতরণের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে বেতন বৈষম্য, নেই যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো সে কারনে মেধাবীরা শিক্ষকতার পেশায় আসতে চায় না। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শিক্ষকদের উচ্চতর বেতন প্রদান করা হয়। শ্রীলঙ্কায় শিক্ষকদের মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়। আমাদের দেশে শিক্ষকদের কোন মর্যাদার কোন মান দন্ড নেই। স্বাধীন হওয়ার ৪০ বছর পর ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণীত হয়। কথা ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে এর বাস্তবায়ন হবে। সেখানে শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রদান করা হবে। তাছাড়া বৈষম্যহীন আধুনিক বিশ্ব মানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রত্যায় ব্যাক্ত করা হয় শিক্ষানীতিতে। কিন্ত বাস্তবতা ভিন্ন দেশের ৯৭% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক আজ অবহেলিত। সবচেয়ে বেশী হীন মর্যাদায় ভোগেন বেসরকারি শিক্ষকেরা। তারা রাষ্ট্র মর্যাদার কোন পর্যায়ে পড়ে না। শিক্ষা খাতে বাজেট অপর্যাপ্ত। সে কারনে শিক্ষকদের মর্যাদা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সর্বত্র চরম বৈষম্য বিরাজ করছে। বিধায় শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় বৈষম্য নিরসন করে শিক্ষা পেশা কে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যাহাতে মেধামিরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে স্বচ্ছান্দ্যবোধ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে জাতির জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় করন করেন। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা ছিল পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা জাতীয় করন করা। দুঃখের বিষয় জাতির ভাগ্যাকাশে কালো মেঘ নেমে আসে বন্ধুবন্ধুর অকাল মৃত্যুতে। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন চাই।
শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শাহানাজ পারভীন মুন্নী, আলমগীর হোসেন, আলী আকবর, প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, অসিত বিশ্বাস, কৃপা সিন্দু, শাহানাজ পারভীন, আব্দূল গনি শেখ, খলিলুর রহমান, রেজাউল করিম, মিজানুর রহমান, আলী কদর প্রমুখ।