ক্যাম্পাসশৈলকুপা

ইবির সাবেক ছাত্রী তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় জামিরুলের স্বীকারোক্তি (ভিডিও)

ঝিনাইদহের চোখ-

ঝিনাইদহে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি জামিরুল ইসলাম জোয়ারদার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এ খবর নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার সাইদ। তিনি জানান, প্রধান আসামি জামিরুল ইসলাম জোয়ারদারকে গত বুধবার ভোররাতে মাগুরা জেলা শহরের ভায়না এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন তাঁকে আদালতে হাজির হয় এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার পরিদর্শক মহসীন আলী সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আজ ছিল রিমান্ডের শেষ দিন। দুপুরের দিকে জামিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁর দেওয়া আট পাতার জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। জবানবন্দিতে তিন্নির মৃত্যুর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন জামিরুল। জবানবন্দি রেকর্ড করা শেষে কঠোর নিরাপত্তায় রাতেই জামিরুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আট পাতার জবানবন্দিতে তিন্নির মৃত্যুর বিষয়ে জামিরুল কী ধরনের তথ্য দিয়েছেন তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করতে রাজি হননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

গত ১ অক্টোবর মধ্য রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নিকে নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করেন। এরপর তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন্নিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার আগে সেদিন রাতে তিন্নির মেজ বোন স্কুলশিক্ষক ইফ্ফাত আরা মুন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল তাঁদের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার পরে তিন্নি আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে জামিরুল ইসলাম জোয়ারদারকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করেন। প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button