ঝিনাইদহে বিভিন্ন দোকানে মানা হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রন আইন
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন খুচরা ও মুদি দোকানে মানা হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রন আইন। আইন অম্যান্য করে কোম্পানীগুলো তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এ ঘটনায় শহরের ১৫টি তামাকজাত পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ই-কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছে ও স্থানীয় তামাক বিরোধী জোটের সদস্য সংগঠন ‘পদ্মা সমাজকল্যাণ সংস্থা’।
শহরের এইচএসএস সড়ক, হাটখোলা, শের-এ বাংলা সড়ক, হামদহ, সদর হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে। প্রকাশ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও কোম্পানী গুলোর ইন্ধনে দোকানিরা দোকানের সামনে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা মার্কেটের ইমন স্টোর, লতিফ টি স্টোর, মেসার্স মুন্সী স্টোর, শের এ বাংলা সড়কের সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সামনে ওলিয়ার টি স্টোর, আলফালাহ হাসপাতালের সামনে মতিয়ার স্টোর, হামদহ এলাকার অপু স্টোর, জোয়ার্দ্দার স্টোর, আফাঙ্গীর টি স্টোর, আজাদ স্টোর, হাসান ফুড কনফেকশনারী, নিলয় স্টোরসহ বিভিন্ন স্থানের দোকানগুলোতে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তামাক বিরোধী সংগঠন ‘পদ্মা সমাজকল্যাণ সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারের আইন অমান্য করে কোম্পানীগুলো এসব প্রচার করে চলছেন। ঝিনাইদহে ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট্র’র সহযোগিতায় কাজ করছে পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এ সংক্রান্ত বিধিমাল’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্য এর বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্য শহরের ১৫টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ই-কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমরা আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রæত সময়ের মধ্যে দোকান গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। এছাড়াও তামাকজাত পন্যের ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালাচ্ছি।