ঝিনাইদহে বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় স্বামীর ২য় বিয়ে, নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদবা গ্রামের মেয়ে স্বর্ণালী। তিন মাস পূর্বে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী গ্রাম আজমতনগরের আব্দুল মালেকের ছেলে সোহান প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে স্বর্ণালীর। বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় একই উপজেলার কাঠালিয়া সুন্দরপুর গ্রামের নড়ু মিয়ার মেয়েকে ২য় বিয়ে করে সোহান। তার পর থেকে স্বর্ণালীর উপর যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল সোহান ও তার পরিবার।
গত ৫ অক্টোবর সকালে স্বর্ণালীকে তার স্বামী সোহান ও পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্বর্ণালীর পরিবারের লোকজন লোকমুখে জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ ঘটনায় নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ বিঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন স্বর্ণালীর পিতা তরিকুল ইসলাম। যার মামলা নং ২৬২/২০। তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০ইং।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী লিমা খাতুন নামের এক মহিলা বলেন, স্বর্ণালীর মরদেহের ভিভিন্ন স্থান যেমন মুখে ও বাম হাতে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দিয়া দাগ দেখতে পেয়েছেন। তাছাড়া তিনি হাসপাতালে গিয়ে মুখে বিষ দেখতে পান। কিন্তু জানতে পারেন তার ওয়াশ করার সময় কোন বিষ বের হয়নি এবং সেসময় তার মৃত্যু হয়। তাই তারা এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিন মাস আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বর্ণালীকে বিয়ে করার ১৬ দিনের মাথায় সোহান ২য় আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে। তারপর থেকে ওই পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সে জানতে পারেন এই সোহান বিভিন্ন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারিত করে আসছে। তাই এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
স্বর্ণালীর পিতা তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের মুখের বাম চোয়ালে ও বাম হাতে সিগারেটের আগুনের স্পষ্ট দাগ দেখতে পেয়েছি। যার ছবি আমি সংগ্রহ করে রেখেছি। আমার মেয়েকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে সোহান ও তার পরিবার এর সঠিক তদন্ত করে শাস্তির জোর দাবি করছি। এছাড়াও আরো অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে যে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তা আর কোন পরিবারে যাতে না ঘটে বলে তিনি কেঁদে ফেলেন।