ধৃষ্টতা—গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখ-
এখানকার গোবরে মাটিগুলো
সোনালি শস্যের জনক হবে বলে গণতন্ত্র চেয়েছিলো
শাসন শোষণ নিপীড়ন নির্যাতন থেকে মুক্তির আশায়
একত্রিত হয়েছিলো স্ব-মহিমায়।
স্বাতন্ত্র্য জাতিসত্তার প্রতীক উন্মোচিত করবে বলে
তাজা রক্ত, তাজা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো
নবীন প্রবীণ উর্বর মাটিকোষগুলো।
যুদ্ধের পর প্রতীক হলো, জনক হলো
গণতন্ত্রের সংবিধান হলো
গোবরে মাটিদের আদি ও আসল নীতি উল্লেখিত হলো
এ মাটির সংবিধানে।
মাটিদের জানান দেয়া হলো গণতন্ত্র পেয়েছে
স্বাধীনতা পেয়েছে…
সত্যটা ভাষা আর সীমানা
তাছাড়া কী দিয়ে বোঝাবে এই গোবরে মাটিদের?
স্টেজে দাঁড়িয়ে সকল প্রতারক, সঞ্চালকরাই মিথ্যা বলে
সঞ্চালনা দীর্ঘমেয়াদি করার জন্য
এ যেনো মধ্যযুগীয় পণ প্রতিজ্ঞার অনুকরণ।
এখানকার গোবরে মাটিগুলো কখনোই গণতন্ত্র পায়নি
লিখিত প্রজ্ঞাপন ছাড়া।
আদি ও আসল নীতি এখানে বিকলাঙ্গ
স্বাধীনতা থেকেই সরকারঘেঁষা খালা-মাসী ভক্তদের
স্বার্থান্বেষী টর্চারে।
গোবরে মাটিদের স্বপ্নের গণতন্ত্র
আরামায়েশে চেটেপুটে খাচ্ছে
লোক ঠকানো সঞ্চালকরা।