মোংলায় গণধর্ষণঃ ঝিনাইদহে বন্ধুর বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রিযাপন
ঝিনাইদহের চোখ-
বন্ধুর সাথে ঘুরতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার মহলছড়ি থানার মাইচছড়ি কালাপাহাড় এলাকার এক কিশোরী। ৫দিন যাবৎ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে দুই বন্ধু। ২৫ নভেম্বর রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুই ধর্ষককে হাতে-নাতে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
পুলিশ ঝিনাইদহের চোখকে জানায়, চট্টগ্রাম ইপিজেড’এ কাজ করার সুবাদে মেহেদী হাসানের সাথে পরিচয় হয় কিশোরীর। বন্ধু মেহেদীর সাথে মোংলায় বেড়ানোর কথা বলে চট্টগ্রাম থেকে আসে সে। প্রথমে ২১ নভেম্বর ঝিনাইদহে বন্ধু সুমন শরিফের বাড়িতে মেহেদী হাসানের স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রিযাপন করে তারা। সেখান থেকে ২৪ নভেম্বর বিকালে মোংলায় এসে মেহেদী হাসানের বাড়িতে আসে তারা। সেখানেও সুমন শরিফের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবস্থান নিয়ে রাত্রিযাপন করে এবং ওই দিন রাতে প্রথমে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মেহেদী হাসান ধর্ষণ করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্ধ সুমন শরিফ ওই কিশোরীকে পুনরায় ধর্ষণ করে। দুই বন্ধু মিলে পালাক্রমে ওই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে।
তাদের কার্যকলাপে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গভীর রাতে সুমন ও মেহেদী হাসানকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশ। রাতেই মেহেদীর বাড়ি থেকে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাদী হয়ে এ দিন রাতেই মোংলার পশ্চিম শেহলাবুনিয়া এলাকার আজিজ খন্দকারের ছেলে ধর্ষক মেহেদী হাসান (২৫) ও খোকন শরিফের ছেলে সুমন শরিফের (৩০) বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করে।