মাছ বিক্রেতা তাহেরার মুখে হাসি ফোটালেন ঝিনাইদহ মেয়র মিন্টু
ঝিনাইদহের চোখ-
প্রতিদিন ৪০ কেজি ওজনের মাছের হাড়িটি মাথায় নিয়ে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মাছ ফেরী করে বিক্রি করতো তাহেরা। বছরের পর বছর এভাবেই তিনি মাছ বিক্রি করছেন। এর থেকে যা আয় হতো তা দিয়েই চলতো তার অভাবের সংসার। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামের মোঃ বিশারৎ শেখের মেয়ে মোছাঃ তাহারা খাতুন।
তাহারা খাতুন জানান, অনেক কষ্ট করে মাছ বিক্রি করে সংসারটা চালাই। প্রতিদিন ভোরে আড়তে যেয়ে মাছ কিনে ফেরী করে বিক্রি করি। কখনও মাছের ওই হাড়িটার ওজন হয় ৩০ কেজি আবার কখনও ওজন হয় ৪০ কেজি। একটা ভ্যান কেনার ইচ্ছে বহুবছর ধরে। কিন্তু স্বল্প আয়ের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। ঝিনাইদহ মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু কিভাবে জেনেছেন তা আমি জানি না। আজকে হঠাৎ মাছ বিক্রি করার সময় তিনি ভ্যান নিয়ে হাজির । আমার চোখ পানি এসে গেছে তার এ অনুদান পেয়ে। আমি আমার খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, স্থানীয় মানুষের মুখে শুনে জেনেছি প্রতিদিন কতটা কষ্ট করে মাছ ফেরী করে তাহেরা। ৪০ কেজি ওজনের মাছের হাড়িটি মাথায় নিয়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরতে অবশ্যই তার খুব কষ্ট হয়। এতো একদিন দুই দিনের বিষয় না। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে তার পাশে দাড়ানো প্রয়োজন। তাহারার কষ্টের কাছে আমার এ ছোট্ট উপহার খুবই সামান্য। যদি তার কোন উপকারে আসে তাহলেই আমার চেষ্টা স্বার্থক। আল্লাহ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন আর আমি চেষ্টা করেছি এর বেশী কিছু না।