শীতের সুস্থতায় সরিষা তেলের গুণাগুণ
ঝিনাইদহের চোখ-
সরিষার তেলের অনেক গুণ আছে। শুধু রান্না-খাওয়ায় নয়, রূপচর্চাতেও সরিষার তেল ভালো। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় এমন উপাদান রয়েছে এতে। শীতের দিনে গোসলের আধ ঘণ্টা আগে সারা গায়ে ভালো করে সরিষার তেল ম্যাসাজ করুন। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। শীতে ত্বকও থাকবে তরতাজা।
চিকিৎসকদের মতে, সরিষার তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের। নিয়মিত এই তেলের ব্যবহার জটিল সমস্যার সমাধান করে। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড।
আসুন জেনে নেই কী ভাবে রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয় সরিষার তেল-
* ঠোঁট ফাটায়:
শীতে ঠোঁটফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। লিপবামের পরিবর্তে অল্প একটু সরিষার তেল ঠোঁটে লাগান। এই প্রাকৃতিক ময়োশ্চারাইজার ঠোঁট ফাটা রোধ করে ঠোঁট নরম কোমল করে তুলে।
* রোদ থেকে রক্ষায়:
অল্প তেল হাতের তালুতে নিয়ে ঘষে মুখে লাগিয়ে বাইরে বেরোন। সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে।
* রিংকেল কমাতে:
এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি রিংকল কমাতে সাহায্য করে।
* ত্বকের যত্নে:
এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আছে প্রচুর। অ্যালার্জি, র্যাশ, শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতে সাহায্য করে। সরিষার তেল ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে ভালো। বেসন, দই, লেবুর রস ও সরিষার তেল মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। উপকার হবে।
এছাড়া সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন, ত্বক নরম ও উজ্জ্বল থাকবে।
* ত্বকের দাগে:
মুখে কালো দাগ, ব্রণের দাগ কমাতে দুই চামচ সরষের তেল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এর মধ্যে এক চামচ লেবুর রস ও দুই চামচ টকদই দিয়ে একটা প্যাক বানান। প্যাকটি মুখে মাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দাগ যাবে, সঙ্গে মুখের জেল্লা বাড়বে।
* চুলের যত্নে:
চুলের যত্নে মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করেন অনেকে। চুলের আগা ফাটা, চুল পড়া রোধ, চুল ঘন কালো করতে খুবই ভালো। এছাড়া এর আয়রন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া রোধ করে।
* নতুন চুল গজাতে:
এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। মাথার তালুতে ম্যাসাজ করার ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।