ঝিনাইদহে ৪২ দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৩১ জন
মনজুর আলম, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ
ঝিনাইদহের সড়ক মহাসড়ক অতি ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়াভাবে চালানো হচ্ছে ট্রাক, ট্রাক্টর বাসসহ নানা যানবহন। গ্রামীণ সডকগুলোতে অবস্থা আরও বেশি ভয়াবহ। এখানে অবৈধ নছিমন, কমিরন, ট্রাক্টরের কথিত ড্রাইভারের নিকট প্রতিদিনই ছোট বড় দূর্ঘটনায় ঝরছে প্রান।
গত ৪২ দিনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অর্ধশত দূর্ঘটনা ঘটেছে। এ সকল দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩১জন। চলতি মাসে ১১দিনে (১১ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত) ৫টি দূর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে।
জেলার থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এতথ্য জানা গেছে।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, ট্রাকের সাথে ২৬জন, বাস ২ জন, ট্রেন একজন, অবৈধযান লাটাহাম্বার একজন ও নছিমন নিয়ন্ত্র হারিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে একজন নিহত হয়েছে। সংঘটিত দূর্ঘটনাগুলো বাসের সাথে মোটরসাইকেল, ট্রাক-মোটরসাইকেল, ট্রাক-আলমসাধু, বাস-ট্রাক, নছিমন, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভিন্ন সময় নিহত হন।
এসকল দূর্ঘটনার মধ্যে একই সাথে ৭ জন ও ১২জন যাত্রীর নিহতের ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ৫টি দূর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। একের পর এক দূর্ঘটনায় মৃত্যুতে পথচারিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক পুরিশের ইন্সপেক্টর মো: সালাহ উদ্দিন বলেন, সড়ক দূর্ঘটনারোধে সচেতনমুলক কর্মশালার পাশিাপাশি ড্রাইভারদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া নিয়মকানুন মেনে পথচলা, গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে ওভারটেক না করা, বিশেষ করে ব্যাক্তি সচেতনা হতে হবে।
এছাড়া যদি গতিশনাক্তকারি যন্ত্রের ব্যবহার একযোগে সারাদেশে ব্যবহার করা সম্ভব হয়। তাহলে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ সড়ক দূর্ঘটনা রোধ হবে বলে মনে করেন তিনি।#