বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারিনী বিলকিস নাহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ঝিনাইদহের চোখ-
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারিনী বিলকিস নাহার। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ঝিনাইদহ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ব্রেন ষ্ট্রোক করে সংগাহীন হয়ে মৃত্যুরসাথে পাঞ্জা লড়ছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে বিলকিস নাহার খুব কম বয়স থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং এখনও পর্যন্ত তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন মহিলা আওয়ামীলীগের ঝিনাইদহ জেলার সহ-সভাপতি পদে দায়িত্বে আছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিলকিস নাহারের জন্ম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সমসপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। বর্তমান বয়স ৭৬ বছর। এর মধ্যে ৪২ বছরই মহিলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সরকারের সময় নির্যাতন ভোগ করেছেন।
তার একমাত্র সন্তান কাজী এনামুল হক মিলন জানান, আমার মা দেশের সব অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিলেন অগ্র সৈনিক। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদে বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন । ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিলকিস নাহার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গোপালপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম কাজী পরিবারে। তার স্বামী মৃত কাজী ছামসুল হক।
তার ছেলে কাজী মিলন আরো বলেন, তার স্বাভাবিক জ্ঞান নেই । ১৫ দিন যাবত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন । এসময় জেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ তাকে দেখতে আসেন । তবে আমার মায়ের যে দল ঝিনাইদহ মহিলা আওয়ামীলীগের কোনো নেতৃবৃন্দ এখনও দেখতে আসেননি বলে তিনি আক্ষেপ করেন । এরকম রাজনীতি বদলানো প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তার একমাত্র সন্তান ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মিলন ।
সন্তান কাজী মিলন তার মায়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।