ঝিনাইদহে জ্বীনের বাদশার খপ্পরে এক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুরে তথাকথিত জ¦ীনের বাদশার খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খুঁইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাসুদ রানা ওরফে মিনা নামের এক ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ি। লটারিতে কোটি টাকা, ফ্লাট, স্বর্ণের পুতুল পাবার ইচ্ছে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ধার নিয়ে বিকাশ করার পরই ফোন নম্বরটি বন্ধ হবার পর লোকজনের নিকট প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
এলাকাবাসি জানান, কয়েকদিন আগে তার নিকট একব্যাক্তি ফোন দিয়ে একটি মসজিদের জন্য কয়েকটি কোরআন শরীফ ও জায়ান নামাজ দেবার জন্য জানায়। পরে নিজেকে জ্বীনের বাদশাহ পরিচয় দেবার পর প্রথমে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে বলে। এরপর জানানো হয়, তার ভাগ্যে কোটি টাকার লটারি ও স্বর্ণের পুতুল আছে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব পাওয়া যাবে। আর এতে সে একবারে ধনী হয়ে যাবে। বিনিময়ে প্রথমে মসজিদে দান করার জন্য কিছু টাকা বিকাশ করতে বলে। রাতারাতি ধনী হবার লোভে বিকাশে ঐ প্রতারতককে কিছু টাকাও পাঠান মিনা। এরপর অন্য টাকা ও বাড়ি পাবার কথা অন্যকে বললে পাওয়া যাবেনা, জানালে চরম ক্ষতি হতে পারে বলে ভয় দেখানো হয়।
কিন্ত টাকা পাবার জন্য তাকে কিছু কাজ করতে হবে। যার মধ্যে- তিনটি রোজা রাখতে হবে. মা-বাবাকে ভালো যতœ করে তাদেরকে খুঁশি রাখতে হবে, তিনটি উপযুক্ত খাশি ছাগল জবাই করে প্রতিবেশিদেরকে সাথে নিয়ে মিলাদ দিতে হবে এবং জ্বীনের বাদশার ০১৮৯২-১৯৫৬৫১ এবং ০১৩০২-১৬২২০৯ মোবাইল নম্বরে খরচ পাঠাতে হবে। তার কথামত টাকা পাবার লোভে কয়েক দফায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা বাজারের বিভিন্ন বিকাশের দোকান থেকে বিকাশ করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধার পর ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় মিনা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়েছে।
প্রতারণার শিকার মাসুদ রানা ওরফে মিনা জানান, এ ঘটনার তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।#