ঝিনাইদহের বাঁধাকপি মাগনাও নিতে চাইছেনা কেউ
মনজুর আলম, স্টাফ রিপোর্টার-ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে বাঁধাকপির (পাতাকপি) দাম তলানিতে পড়েছে। কৃষকের খেতেই শুকিয়ে পঁচে নষ্ট হ”েছ। আবার কোন কোন কৃষক পাতাকপির জমি চাষ দিয়ে দিয়ে দি”েছ, পশুকে খাওনানোর জন্যও কেউ নিতে চাইছেনা; কারণ পাতাকপি বেশি পরিমানে খাওয়ালে পানিবাহিত রোগের ঝুকি থাকে। তাই জমি থেকে কেউ মাগনাও নিতে চাইছেনা।
জেলার খালিশপুরের পুরন্দপুরের কসাইপাড়ার শফিউদ্দিন গুয়ালহুদার মাঠে একবিঘা জমি লিজ নিয়ে পাতাকপির আবাদ করে ছিলেন। এখানে তার প্রায় ৩২-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিš‘ তিনি তার কপি বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। প্রথমে ১-২ টাকা দরে বিক্রি করলেও খরচের টাকাই তার ওঠেনি। আবার কপিগুলো বাইরে কোন জায়গায় ফেরবেন তাও ফেলতে পারছেনা। কারন পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াবে তাই লোকজনে বাঁধা দি”েছ। তাই কপিগুলো জমিতেই শুকা”েছ। একই অব¯’া মাঠের রমজান আলী মন্ডল ও মোসারেফ হোসেনের।
মোসারেফ হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে পাতাকপির আবাদ করেছিলেন। আবাদও ভালো হয়েছিল। একটি পাতাকপি ২-৩ কেজি ওজন হয়েছিল, তা বিক্রি করতে হয়েছিল ১-২ টাকায়। তাও আবার শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে না পেরে জমিতেই নষ্ট হওয়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ দিয়েছেন। একই অব¯’া প্রায় অন্যান্য বাধাকপির চাষির।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, এবছর ১১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। আর এপরিমান জমি থেকে ২৩ হাজার ৯৬৩ মেট্টিক টণ সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যধরা হয়েছে।