ঝিনাইদহের জাহাঙ্গীর মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত
ঝিনাইদহের চোখ-
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন নিজের জীবনের ভাগ্য বদলিয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু বিধিবাম লাশ হয়েছে ফিরলেন তিনি। এখন সেই বাড়িতে হাসির পরিবর্তে চলছে কান্নার রোল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ নিজ বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে পৌঁছায়।
গত ১৭ এপ্রিল ক্রেনে মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
নিহত জাহাঙ্গীর মুন্দিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ার জহুর বারু শহরে ক্রেনের চালক ছিলেন।
নিহতের বাবা-মা, স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজনরা আহাজারি করছেন। মরদেহ নিজ বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের এলাকার মানুষ একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। গত ১৪ মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
নিহতের চাচাতো ভাই হোসাইন মোহাম্মদ জীম জানান, জাহাঙ্গীর আলম মালয়েশিয়ায় ক্রেনচালক ছিলেন। গত ১৭ এপ্রিল ক্রেনের কন্ট্রোল হারিয়ে পাশের একটা পিলারের সঙ্গে বাড়ি লাগে এবং তার মাথার পেছন সাইডে প্রচণ্ড ক্ষত হয়। এর পর হসপিটাল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
করোনার কারণে বিমানের ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ায় মরদেহ আসতে দেরি হয়েছে। বুধবার দিবাগত সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়া থেকে একটি কার্গো বিমানে মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, সাইফ মাহমুদ সিয়াম নামে দেড় বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত আড়াই বছর আগে ছুটিতে এসে বিয়ে করেন তার ভাই। এখনও ছেলের মুখ সরাসরি দেখা হয়নি। এর আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।