ঝিনাইদহে বিদেশীরা দাঁড়ালো অসহায়দের পাশে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
বাংলাদেশীদের ভালোবাসার টানে এসেছেন তারা। এমন ভালোবাসা সচরাচর দেখা যায়না। ঈদুল আযহা উপরক্ষে সুদুর তুরস্ক থেকে তারা এসেছেন বাংলাদেশীদের ভালোবাসেন বলেই। তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ আর ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ জেলায়। তারা দুইজন দাড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন পশু কুরবানি।
একে একে ৩০০ গরু কুরবানি হচ্ছে। এ সাত্যিই এক এলাহী ব্যাপার। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে মানুষ আসছে কুরবানির গোস্ত নেবার জন্য। অনেকে ভীড় করে দেখছেন এ বিদেশীদ্বয়কে। তারা পাচ্ছেন দুই কেজি গোস্ত ও ১০০ করে নগদ টাকা। টাকাটা দেওয়া হচ্ছে মানুষের আসা-যাওয়ার খরচ হিসেবে। এমন ঘটনা একবারেই দেখা যায় না। একের পর এক গরু কুরবানি হচ্ছে। স্বচোক্ষে ওরা দুই জন দেখছে। প্রতিটা কুরবানি যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি হয় সে জন্য তারা বলছেন আল্লাহ হু আকবার। কুরবানি করার হুজুর রা পরপর দাড়িয়ে রয়েছেন। একে একে সিরিয়াল চলে আসছে। কোন ধরনের জটিলতা বা জটলা হওয়ার কোন সুযোগই নেই। নির্দিষ্ট দুরত্বে এমন দৃশ্য চোখে পড়বে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পৌরসভাধীন গিলেবাড়িয়ার কিংশুক ব্রিকসে।
মুলত জাহেদী ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে ও তুরস্কের এ দুই নাগরিকের সহযোগীতায় চলছে মানুষের মাঝে এ গোস্ত বিতরন।
জানা যায়, সমাজের যারা একবারেই দুস্থ ও অসহায় ।য়ারা কিনা ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারে না তাদেরকে সহায়তা করাই এ ফাউন্ডেশন ও তুরস্কের দুই নাগরিকের মুল ব্রত। মোট ৩০০ গরু কুরবানি হবে দুই দিন ব্যাপী। সেখানে ১৫ হাজার মানুষ পাবে ২কেজি করে গোস্ত ও নগদ ১০০ করে টাকা। তুরস্কের এ দুই বাংলাদেশীর নাম তাহসিন ইয়াজান ও ফাতিহ ইলমাদি।
তাহসিন ইয়াজান জানান, তিনি বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষ খুব ভালোবাসেন। মহামারিতে তারা মানুষের পাশে দাড়াতে চান।
ফাতিহ ইলমাদি জানান, এ ফাউন্ডেশনের উদ্যগে তারা আগেও এ কাজ একানে করেছেন। তার খুব ভালো লাগে এমন কাজের মধ্যে থাকতে।