ঝিনাইদহে কয়েকটি গ্রামে গরু চুরির আতঙ্ক
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ও মধুহাটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তি কয়েকটি গ্রামের গরুর মালিকেরা গরুচোর আতঙ্কে ভুগছে। মাঝে মধ্যে সংঘবন্ধ গরু চোরদল নিরীহ কৃষকের গোয়ল ঘরে হানাদিয়ে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। হাতেগনা দুই একজন চোরদলের সদস্য গ্রামবাসি আটক করে পুলিশে দিলেও চুরি হয়ে যাওয়া গরু উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা।
অপরদিকে চোর সদস্য কোর্টের মাধ্যমে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চুরিকাজে লিপ্ত হচ্ছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের বাবলু নামের এক কৃষকের একটি বাছুর গরু চুরি করে পালানোর সময় গ্রামবাসির ধাওয়া খেয়ে গরু ও ইজিবাইক রেখে পালিয়ে গেছে।
এলাকাবাসি জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের মহিউদ্দিনের ছেলে বাবলুর রহমান কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়িতে গরু পালন করে থাকে। গত শনিবার ভোররাতে চোরদল গ্রামে প্রবেশ করে তার গোয়াল ঘর থেকে একটা বাছুর গরু চুরি করে ইজিবাইকে করে পালানোর সময় গ্রামবাসির চিৎকারে গরু ও ইজিবাইক রেখে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে গান্না ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ওবাইদুর হক রিপন বলেন, ভোররাতে ইউজিবাইকে গরু নিয়ে যাওয়া দেখে কয়েকজন গ্রামবাসির মনে সন্ধেহ হয়। তারা চিৎকার করলে গ্রামবাসির ছুটে আসে। এসময় চোরদল ইজিবাইক নিয়ে দ্রæত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অবস্থার বেগতি দেখে গরু চোরদল কাশিমপুর-গান্না বাজার সড়কের মাধবপুর নুড়কিতলা নামক স্থানে গরু এবং ইজিবাইক রেখে পারিয়ে গেছে। স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে তারা ইজিবাইক ও গরু উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে গান্না পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মামলা হবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ঈদের কয়েক দিনে আগে মধুহাটি ইউনিয়নের আটলিয়া গ্রামের বাজার পাড়ার মিজানুর রহমানের দুইটি গরুচুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। এই ঘটনায় রাতেই গ্রামবাসি সংঘবদ্ধ চোরদলের ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার এক সদস্যকে আটক করে পুলিশের নিকট প্রদান করলেও গরু দুইটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ঈদের বাজারে গরু দুইটির ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম হয়েছেল।