ঝিনাইদহের আনোয়ার হোসেন ৩বছর আগে মারা যেয়েও জীবিত
ঝিনাইদহের চোখ-
এসএম আনোয়ার ছোট-খাটো ঠিকাদারি কাজ করেন। করোনার ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি মৃত। তিনি মৃত এ খবরটি জেনে পরিবারসহ এলাকাবাসী সবার চক্ষু চড়ক গাছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, আমাদের ফর্মে আবেদন করলে ঠিক করে দেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, এসএম আনোয়ার তার সত্তুউর্দ্ধ মায়ের সাথে নিজ বাসভবনে হেটে হেটে ঢুকছে। কিন্তু তিনি মৃত। একজন মৃত ব্যক্তি গৃহস্থালী কাজ করছে বিষয়টা ভাবলেই অবাক লাগে। এটি কোন হরর সিনেমা নয় বাস্তব সত্য ঘটনা।
ভুক্তভোগী এসএম আনোয়ার হোসেন জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চননগরের বাসিন্দ তিনি। এ পাড়ার মৃত শেখ মোহাম্মদ আলী ছেলে। বাঁচতে হলে করোনার টিকা নিতে হবে এমন চিন্তা থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়েছিলেন শহরের কম্পিউটার দোকানে। ঘটনা জানাজানি হয় তখনই। নির্বাচন কমিশনের খাতায় তার কোন ডাটা বেজ নেই। নির্বাচন কমিশনের খাতায় ২০১৮ আগে থেকেই তিনি মৃত। সর্বোশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পৌরসভা থেকে স্মার্টকার্ড গ্রহণ করেন পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিয়ে। এদিকে নির্বাচন অফিসের দৃষ্টিতে এই ঘটনা খুব ছোট হলেও সামাজিকভাবে তাকে হেয় হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একারেণ জাতীয় পরিচয় পত্রে এত বড় ভুলের জন্য টিকাও নিতে পারছেন না আনোয়ার হোসেন।
নিজেদের খেয়াল খুশিমত তথ্য দেওয়ার ফল ভোগ করছেন তারা এমনটাই জানানলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান,
পৌরসভা থেকে এই নামে কেউ মৃত্যুর সনদ গ্রহণ করেননি। তিনি এখনও জীবিত আছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মশিউর রহমান জানান, তথ্য গত ভুল হয়েছে। আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
সর্বশেষ আনোয়ার নিজেই অন্যের করা ত্রæটি সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।