ঝিনাইদহে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ/সুষ্ঠু তদন্তের দাবী
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
পার্শবর্তী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিনের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তিনি আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে আসছেন।
ভুক্তভোগীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, সম্প্রতি গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের জন্য ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামে ৪ লাখ টাকা কাবিটার প্রকল্প পাশ হয়। ধোপাবিলা গ্রামের ফকির মন্ডলের বাড়ি থেকে মিজান হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ফ্লাট সলিং করার বরাদ্ধ আসে। এই স্থানটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তভূক্ত যা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেনের নিজ গ্রাম। কিন্তু পার্শবর্তী ওয়ার্ডের মেম্বর কলিম উদ্দিন ওই কাজের পিআইসি। আংশিক যেনতেন ভাবে কাজ করে টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে কলিম উদ্দিন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
আমজাদ হোসেন আরও জানান, ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন ডেফলবাড়িয়া গ্রামে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৯’শ ৬৫ টাকার কাজও পুরোটা করেনি। আংশিক কাজ করে তিনি টাকা তুলে নিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও একই গ্রামে সাড়ে ৩ লাখ টাকার গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কারের কাজের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কোনমত কাজ দেখিয়ে তিনি এই টাকা উত্তোলন করেছেন। কলিম উদ্দিনের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় সে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যাচার করে আসছে।
আমজাদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কলিম উদ্দিন মিথ্যাচার করছে আমি নাকি ৪০ দিনের কর্মসূূচীর টাকা শ্রমিকদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছি। মুলত ওই প্রকল্পে যারা কাজ করেন প্রত্যেক শ্রমিকের নামে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। উপজেলা থেকে সরাসরি তাদের নিজ নিজ এ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়। শ্রমিকরা তাদের নিজস্ব চেকবইতে স্বাক্ষর করে নিজেরাই টাকা উত্তোলন করেন। এখানে আমার বা অন্যকারো এই টাকা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে আমি তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কলিম উদ্দিন মেম্বর বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।