ঝিনাইদহে সন্তান পরিচয়ে ফেলে রেখে গেল বৃদ্ধাকে
ঝিনাইদহের চোখ-
”আমার মা এখানে থাক, ওষুধ কিনে নিয়ে আসছি।” ছেলে পরিচয়ে খাবার হোটেলের মালিককে ঠিক এই কথাটিই বলে পালিয়ে গেল । সেই ছেলে তো আর ফেরেইনি বরং সেই বৃদ্ধা মা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এমনই এক হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে। সেই মা এখনও জীবণ-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে।
শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজের ম্যানেজার রিফাত হোসেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজ। এই খাবার রেষ্টুরেন্টেই নিয়ে এসেছিল ছেলে পরিচয়দানকারী এক যুবক। সেই যুবক কিছুসময় পরই উধাও হয়ে যায়। তার কিছু সময় পরই মেজেতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞাত বৃদ্ধা। হাতে একটি ব্যাগও ছিল। হোটেল মালিক পরে বুঝতে পেরে লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে যেয়ে দেখা যায়, ৬০ উর্দ্ধো বৃদ্ধার নিথর শরীর পড়ে আছে হাসপাতালের মেঝেতে। রাতে কোন এক সময়ে তার জ্ঞান নাকি ফিরেছিল। কিন্তু কিছুই বলতে পারেননি। তখনও মুখে ছিল এ খিলি পান। যা হাসপাতালের অন্যান্য রুগীদের স্বজনরাই মুখ থেকে পরিস্কার করে। এমন নির্দয় ও অমানবিক ঘটনা যেন আর না ঘটে তেমনটিই প্রত্যাশা করেন সকলে । সেই সাথে দৃষ্টন্তমুলক শাস্তীর দাবীও করেন তারা।
কালীগঞ্জ থানা ওসি মাহফুুজুর রহমান জানান, উদ্ধারের পর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার উন্নতি হলেই সব বের হয়ে যাবে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগেরড: সোহা ইসরাইল জানান, আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। এখনো তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। কিন্তু তার অক্সিজেন লেভেল ও প্রেসার ঠিক আছে। ওনার নাক অথবা মুখ দিয়ে কোন প্রকার পয়জনাস কিছু প্রবেশ করার দরুণ এ অবস্থা। ৪৮ঘন্টা সময় পার হলেই আশা করা যায় স্বাভাবিক হতে শুর করবেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজে।