আজ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন “ঝিনেদা থিয়েটার” এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
ঝিনাইদহের চোখ-
আজ২২শে সেপ্টম্বর-ঝিনেদা থিয়েটার এর প্রতিষ্ঠার দিন——-
জানা যায়, ১৯৮৬সালের২২সেপ্টম্বরের এই দিনে আত্ম প্রকাশ করে এই সংগঠনটি। কেশব চন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের বকুল তলা – সবেদা তলায় প্রতিষ্ঠা হয়! দলটি শহর ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম- গঞ্জে নাটক মঞ্চস্থকরে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলো ,নাটকগুলির মধ্যে ছিলো লাশ, করম আলীর দুরবিন, কাকলাশ, ককটেল, বাসন সহ অনেক সুনাম ধন্য নাটক মন্চায়ন করে,নাদিম উদ্দিন রানা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। সেই সময়ে গনেশ নন্দী, চঞ্চল সরকার, রেসাউদ্দোল্লাহ রেসা,স্বপন,পবিত্র রায়,কাজল বিশ্বাস ,অরুন, সনত,হাসিব,বাপ্পি সহ,আরো অনেকে যুক্ত ছিলেন বা আছেন।
বেশ কিছু সুনাম ধন্য নাট্যকর্মি কাজ করতো,৯৬ সালের পর দলটির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৭ দিকে ঝিনাইদহের উদীয়মান তরুণ নাট্য কর্মী ও সংগঠক শামীম আহম্মদের নেতৃত্বে এক ঝাঁক তরুণ নাট্য কর্মী আবারো ঝিনেদা থিয়েটারের কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতেই জনৈক মহা প্রয়াণ, ককটেল ২, বাসন, ডাকঘর, পুতুলের বিয়ে, নিশান, ইঁদারা, ককটেল ১, অন্ধকার, একটি কুকুরের শ্রেণী চরিত্র, খেপা পাগলার প্যাঁচাল, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ,অন্ধকার সহ বেশ কিছু নাটক সফল মঞ্চায়ন করে বেশ জনপ্রিয়তা পাই এই দলটি।
বর্তমানে ঝিনাইদহের অন্যতম নাট্য দল হিসাবে সুনামের সাথে পথ চলছে। ঝিনেদা থিয়েটারের অন্যতম শিশু সংগঠন ভোর হলো আজ স্হানীয়, জাতীয় পর্যায়ে বেশ অবদান রাখছে। দলটির বর্তমানে সভাপতি ঝিনাইদহের খুব পরিচিত সাংস্কৃতিক সংগঠক একরামুল হক লিকু ।
একরামুল হক লিকুর সফল নেতৃত্বে আজ ঝিনেদা থিয়েটার ও পারভেজ ইমামের নেতৃত্বে ভোর হলো সফলভাবে পথ চলছে। ভোর হলো সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় চলছে যেখানে নাটক, গান,আবৃত্তি, নাচ,ছবি আঁকার ক্লাস নিয়মিত চলছে, সংগীতের তালিম দিচ্ছেন ঝিনাইদহের সংগীতের প্রধান ওস্তাদ বাবু অজয় কুমার দাস, ওস্তাদ আবদুল গাফফার, অংকনের শিক্ষক, তালযন্ত্রের ক্লাস নিচ্ছেন মোঃ সোহেল, নাটকের ক্লাস নিচ্ছেন শামীম আহম্মেদসহ প্রশিক্ষক গন।