খোঁজ মিলেছে ঝিনাইদহের সেই বৃদ্ধের স্বজনদের
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অজ্ঞাত সেই বৃদ্ধের স্বজনদের খোঁজ মিলেছে হারিয়ে যাওয়ার ১৫ দিন পর।
খবরটি বৃদ্ধের স্বজন ও পরিবারের লোকজনের দৃষ্টিগোচর হয়। এর পর তার খোঁজ পেয়ে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নিতে এসেছেন তার মেয়ে, জামাই ও নাতি। তারা হাসপাতালে পৌঁছে হারানো বাবাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বৃদ্ধের মেয়ে হামিদা খাতুন জানান, তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক মুন্সি। তিনি পাবনা সদর উপজেলার চরসদিবাজপুর এলাকার বাসিন্দা।
হামিদা জানান, তারা তিন ভাই ও দুই বোন। তার ছোট ভাই গাজীপুরে বসবাস করেন। তাদের বাবা সেখানেই বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১৫ দিন আগে গাজীপুর থেকে পাবনায় আসার সময় তিনি পথ ভুলে হারিয়ে গিয়েছিলেন।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পাননি তারা। পরে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে পত্রিকা দেখে তারা সরাসরি কালীগঞ্জ হাসপাতালে চলে আসেন।
বৃদ্ধের নাতি পাবনা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত দুই বছর আগে তার দাদা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এর পর থেকে তার কথা স্পষ্ট না হওয়ায় বোঝা যায় না। এ কারণেই এমনটি হয়েছে।
পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ায় তারা খোঁজ পেয়েছেন। আমরা মিডিয়াকর্মীদের কাছে ঋণী বলেও জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অরুণ কুমার বিশ্বাস জানান, গত ২৩ অক্টোবর রাতে কালীগঞ্জ শহরের গুলশান মোড়ের এক দোকান মালিক তাকে এনে অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি করে চলে যান। এর পর ৯ দিন পার হলেও তার কোনো পরিচয় মেলেনি।
পরে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে স্বজনরা নিতে এসেছেন। তাদের কথা ও বৃদ্ধের ইশারায় যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ওই বৃদ্ধ ও আসা লোকজন পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও আপনজন। ফলে এখন তাদের হাতেই হস্তান্তর করা হবে। সেই বৃদ্ধ এখন সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।