ঝিনাইদহে ছুটির দিনে গ্রামের রাস্তার দু-পাশর জঙ্গল পরিষ্কার করলো সবাই
ঝিনাইদহের চোখ-
ছুটির দিনে সময় কাটলো নিজ গ্রামের রাস্তার পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের চাপালী যুব সংঘ এর সদস্যরা শুক্রবার সকালে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এই জঙ্গল কাটার কাজ করেন। নানা পেশায় নিয়োজিতরা ও যুবকরা এই কাজে অংশ নেন। যুব সংঘের সদস্য নন এমন অনেকেও এই আয়োজনে শরিক হন।
যুব সংঘের সভাপতি আজাদ রহমান জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভার একটি গ্রাম চাপালী। এই গ্রামে দুইপাশ দিয়ে প্রবেশে দুইটি রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তা দুইটিতে প্রচুর জঙ্গল হওয়ায় সাধারণের চলাচলে কষ্ট হচ্ছিল। রাস্তার বাঁকগুলোর একপাশ থেকে আরেক পাশ দেখার উপায় ছিল না। তাছাড়া জঙ্গলের কারনে বিষধর সব পোকা-মাকড়ের উৎপাত বেড়ে গিয়েছিল। আর জঙ্গলের কারনে সামনের যানটি দেখতে না পেয়ে মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটছিল। এই অবস্থায় চাপালী যুব সংঘ এর সদস্যরা মনে করে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তার পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করবে। এরপর সংঘের নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা করে সময় নিদ্ধারণ করা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ছুটির দিনে সকলেই অলস সময় কাটান। সেই সময়টা কাজে লাগাতে শুক্রবার এই জঙ্গল পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আরো জানান, যুব সংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ৭ টায় একে একে দা’ কাঁচি, হাসুয়া নিয়ে সংঘের অফিসের সামনে সদস্যরা আসতে থাকেন। সাড়ে ৭ টায় সকলে একত্রিত হয়ে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নিমতলা বাসষ্টান্ড হতে কুটিপাড়া হয়ে গ্রামের দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত রাস্তার জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করেন। এখন রাস্তাটি দেখতেও সুন্দর লাগছে, পাশাপাশি সাধারণের চলাচলেও সুবিধা হবে। রাস্তার পাশের জঙ্গলের কারনে রাতের বেলায় যারা ভয়ে চলতে পারতো না তারাও চলতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে চাপালী যুব সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংঘটি আজো সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছেন। গ্রামের আরেকটি রাস্তার জঙ্গল আগামী শুক্রবার পরিষ্কার করা হবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।
যুব সংঘের সদস্য না হয়েও জঙ্গল পরিষ্কারে অংশ নেওয়া কিশোর আবির হাসান জানান, এগুলো হচ্ছে সামাজিক কাজ। নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে সংযুক্ত রাখা প্রয়োজন, তাহলেই আমাদের দেশটা উন্নত দেশ হবে। সেই কথা চিন্তা করে তিনি এই কাজে অংশ নিয়েছেন।