ঝিনাইদহ শৈলকুপা ইউপি নির্বাচনে আলোচনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা
মনিরুজ্জামান সুমন, শৈরকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশকয়েটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।
বিশেষ করে উপজেলার ১০নং বগুড়া ইউনিয়নে মনোনয়ন চাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও জেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল। তিনি ইউনিয়ন নির্বাচনে এবার অংশ গ্রহণ করবেন বলে এলাকায় প্রস্তুতি নিয়েছেন।
উপজেলার ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়ন থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আহমেদ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক প্রত্যাশা করছেন। তিনি এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রণন করবেন। তিনি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়তে নিরলস কাজ করবেন।
উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আবুজার গিফফারী গাফফার।
৯নং মনোহরপুর ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি দীর্ঘ মেয়াদে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছেন।
৬নং সারুটিয়া ইউনিয়ন থেকে দলীয় মনোয়ন চান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার কাইসার টিপু।
৫নং কাচেরকোল ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক মো: গোলাম মোস্তফা। গোলাম মোস্তফা করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবাই নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স ফ্রী সার্ভিস দিয়েছে।
এছাড়াও নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে নেমেছে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি এম রিপন খান। তিনি এবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ও ২০০১ সাল পরবর্তী ছাত্রলীগের রাজনীতি খুব কঠিন ছিল। এই দুই সময়ে যারা ছাত্রলীগ করেছে তাদের জিয়া, এরশাদ ও বিএনপি সরকারের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা সহ্য করতে হয়েছে। এখন জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা প্রবীণ হয়েছেন ছাত্রলীগ থেকে আসা পরীক্ষিতদের আওয়ামী লীগে নিয়ে আসতে হবে। জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়। ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের প্রথম বিজয় ছিল সরকারি কেসি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। এখন সময় এসেছে পরীক্ষিত নেতাদের মুল্যায়ন করা।