মাত্র ৪টি গরু থেকে বৃহৎ ডেইরি ফার্মের মালিক ঝিনাইদহের লাকী
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে বাদপুকুরিয়া দুগ্ধ উৎপাদন কারী দলের ১ম মতবিনিময় সভায় মা বাবার দোয়া ডেইলি ফার্মের মালিক আম্বিয়া খাতুন লাকী
সাইফুল ইসলাম, সাগান্না, ঝিনাইদহের চোখ-
গ্রামীণ কুসংস্কার আর প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩নং সাগান্না ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাদপুকুরিয়া গ্রামের নবনির্বাচিত মেম্বার আম্বিয়া খুতুন (লাকী)
কেবল সফল স্ত্রী বা মা নন, তীব্র ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্র নিষ্ঠায় নিজ পরিচয়ে আম্বিয়া খতুন(লাকী)এখন ঝিনাইদহের পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম সফল “মা বাবার দোয়া ডেইলি ফার্মে”।
বাদপুকুরিয়া গ্রামের মৃত গোলাম রসুল (কাঙ্গালে)’র মেয়ে হলেন এই আম্বিয়া খাতুন ( লাকী)। তিনি ২০১৮ সালে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার তাগিদে মাত্র চারটি গরু নিয়ে লাকী শুরু করেন তাঁর ডেইরি ফার্ম। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে তিনি এখন প্রায় ৩০টি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ ডেইরি ফার্মের মালিক।
বর্তমানে প্রতিদিন উৎপাদন হয় প্রায় ১০০ লিটার দুধ। আর এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে লাকীর অধীনে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ জনের।
সফলতার পেছনের গল্প বর্ণনা করে লাকী বলেন, নিজের ব্যক্তি পরিচয় না থাকায় আমি খুবই হতাশায় ভুগছিলাম। পরে আমি চারটি গরুর মাধ্যমে শুরু করি এই ফার্ম। তাতে আবার অনেকেই নানা ধরনের কথা বলে আমার মন খারাপ করে দিত। এতে করে আমি কখনোই পিছু হটিনি। আজ যখন বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আমাকে নারী উদ্যোক্তাদের মডেল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন, তখন আমার সব পরিশ্রম সার্থক মনে হয়।’
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামে আম্বিয়া খাতুন লাকীর বাড়িতে “বাদপুকুরিয়া দুগ্ধ উৎপাদনকারী কর্মীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আম্বিয়া খাতুন লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফ. এ. ও. মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ঢাকা। উপস্থিত ছিলেন এল. ডি.পি.পি. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ঢাকা,এম.ও. আতিকুর রহমান মনিটরিং অফিসার খুলনা, এল.ই.ও.ডাঃ তারেক মুসা লাইব ষ্টোর এক্সটেনশন অফিসার সদর উপজেলা ঝিনাইদহ,এল.এফ.এ আরিফ আহমেদ, এল.এফ.এ.বিপ্লব হোসেন, এ.আই.টেকনিশীয়ান কাজী শামস্উদ্দিন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এল.এস.পি শামীম রেজা (পলাশ)।