ঝিনাইদহে কৃষকদের অভিনব চাষ পদ্ধতি/এক বাগানে দুই সবজি
মমিনুর রহমান মন্টু, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কৃসকরা অভিনব চাষ পদ্ধতিতে চাষ করছে। তারা এক ক্ষেতে দুই সবজি চাষ করে রিতিমতো সাড়া ফেলেছে পুরো এলাকায়। সাথী ফসল চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে বেশকয়েকজন কৃষক।
ঝিনাইদহ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার গান্না গ্রাম ও কালীগঞ্জ উপজেলার কাদিরকোল গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘাজমিতে এই সমন্বিত চাষ শুরু করেছে কৃষকরা।
ঝিনাইদহের পেপের সাথে সমন্বিতভাবে বাধা কপিসহ বিভিন্ন ধরনের পেপের সাথে বাধাকপিচাষকরে কৃষকরাতিনমাসেবিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজারটাকাপর্যন্ত অতিরিক্ত লাভপাচ্ছে। যাএলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপকসাড়া ফেলেছে।
গান্না গ্রামের পেপে চাষী শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘ দিন যাবত প্রায় ৭০ বিঘাজমিতে পেপের চাষ করেন। এ উপজেলার পেপে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে প্রতিদিন। তিনি জানান, শীতকালে পেপের বাগানে পেপে গাছের পাতা কম থাকে। যার কারনে পেপে বাগানে প্রচুর পরিমানে রৌদ পাওয়া যায়। এ সময় তিনি পরিক্ষামুলকভাবে গত ২ বছর ধরে বাধা কপি চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর ৬০ বিঘা থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা লাভ করেছিলেন। এবার তিনি ৮০বিঘা জমির পেপের মধ্যে বাধা কপি লাগিয়েছেন। আশা করছেন প্রতি বিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ হবে।
কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, পেপের মধ্যে বাধা কপি চাষে আলাদা কোন খরচ লাগেনা। বরং বিনা খরচেই তিন মাসে এখান থেকে অনেক টাকা লাভ করা । পেপের গাছ থেকে ১২ মাসই পেপে সংগ্রহ করা যায় এবং নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই জমিতে কম খরচে বিঘা প্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা অন্য ফসল পাওয়া যায়।
কৃষক জাকির হোসেন জানান, এক বিঘা পেপে ক্ষেতে ৫ হাজার পিচ বাধা কপির চারা লাগানো যায়। প্রতি পিচ কপি যদি পাইকারী ৫ টাকা দরে বিক্রি করা যায় তাহলে ২৫ হাজার টাকা আয় হয় মাত্র ৩ মাসে। শুধুমাত্র বাধা কপির চারার খরচ হয়। তিনি জানান, পেপের জন্য যে সার ও ওষুধ দেওয়া হয় তাতেই এই সাথী ফসল চাষ হয়ে যায়। এটি একটি লাভ জনচাষ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম জানান, জেলার গান্না ইউনিয়নে অনেক কৃষক পেপে চাষ করেন। তবে পেপের জমি ভাল ব্যবহার করছেন এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক । অনেকে পেপের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে বাধা কপি, ধনিয়া, বেগুন, ভুট্টা চাষ শুরু করছেন। তিনি আরো জানান, এলাকার পেপে, কপিসহ অন্য ফসল মালয়েশিয়াতেও রফতানি করছে কৃষকরা।