বিভিন্ন আইনসহ প্রেশার-ওজন-ডায়াবেটিস পরীক্ষাও শেখাচ্ছে ঝিনাইদহ তথ্য আপা
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘তথ্যআপা।’
এ প্রকল্প থেকে গত ৩ বছর দুই মাসে সেবা গ্রহণ করেছেন ১৭ হাজার ৪০০ মানুষ।
জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) চলমান রয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুরে ‘তথ্যআপা’ কেন্দ্রটি চালু হয়। এ কেন্দ্রে মানুষকে সেবা দিতে যোগদান করেন একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (তানিয়া সুলতানা) ও দুজন তথ্যসেবা সহকারী (শারমিন আক্তার ও মমতাজ খাতুন)। কেন্দ্রে উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রামের মানুষ সেবা গ্রহণ করেছেন।
মানুষ তথ্যআপাদের মাধ্যমে শিখেছেন কীভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল করা, ভিডিও কলে কথা বলা যায়। এ ছাড়া প্রেশার মাপা, ওজন মাপা, ডায়াবেটিস পরীক্ষার নিয়ম শিখেছেন। উঠান বৈঠকে জেনেছেন, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বাল্যবিবাহ, ফতোয়া, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, আইনগত সমস্যাসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা।
উপজেলার দুধসরা ভবানীপুরের বাসিন্দা নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আগে কোনো কিছুই জানতাম না। তথ্য আপারদের মাধ্যমে জেনেছি, কীভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ভিডিও কলে কথা বলতে হয়? জেনেছি, বাল্যবিবাহ, স্বাস্থ্যগতসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের চোখ খুলে গেছে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’
রেলস্টেশন পাড়ার পারভিন আক্তার বলেন, ‘আগে আমরা অন্ধ ছিলাম। এ তথ্যআপা এসে চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা বাড়িতে বসে পাচ্ছি স্বাস্থ্যসেবা। জানছি ডিজিটাল সেবার বিভিন্ন দিক।’
এ বিষয়ে তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর উপজেলায় যোগদান করি। এরপর থেকে ১৭ হাজার ৪০০ মানুষকে এ কেন্দ্রের সেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। যার মধ্যে তথ্যকেন্দ্র থেকে সেবা দেওয়া হয়েছে ৯০০ জনকে। বাড়িতে গিয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার মানুষকে। এ ছাড়া উঠান বৈঠক করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০টি। তিনি বলেন, ‘করোনার মহামারিতে কাজের কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। তা না হলে এ এলাকার আরও মানুষকে আমাদের এ সেবাসমূহের আওতায় আনা সম্ভব হতো। মহামারি কমতির দিকে। এ কারণে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।