আজ বারবাজার ঐতিহাসিক শাহ্ গাজী কালু চম্পাবতী মাজার শরীফে ওরশ
বেলাল হুসাইন বিজয়,কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারবাজার বাদুরগাছা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক শাহ্ গাজী, কালু, চম্পাবতী মাজার শরীফে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও (বৃহস্পতিবার – ১১ মার্চ) দিনব্যাপি পবিত্র ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রতিবছর এই দিনে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটে থাকে। শুধু তাইনা ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান হিসাবে গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজার শরীফ দিনে দিনে তার ভক্তশ্রোতা বেড়েই চলেছে। প্রতিবছর এখানে ওরশ শরীফ পালন করা হয়। আর এই ওরশ শরীফে লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। মত দ্বৈততা থাকলেও এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, গাজী- কালু ও চম্পাবতীর মাজার বারোবাজারেই অবস্থিত।
গাজী- কালু ও চম্পাবতীর মাজারে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মানত করে। শ্রীরাম রাজার বেড় দীঘির দক্ষিণ পাশে ৩টি পাশাপাশি কবরের অবস্থান । মাঝখানে বড় কবরটি গাজীর, পশ্চিমেরটি কালুর এবং পূর্বের ছোট কবরটি চম্পাবতীর বলে পরিচিত। মাজার সন্নিহিত দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি প্রাচীন বটগাছ আছে। এই বটগাছের তলদেশে একটি শূণ্যস্থান দেখা যায়। এটিকে অনেকে কূপ কিংবা অন্য কোন কবর বলে মনে করেন।
১৯৯২ সালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন কবর তিনটি বাঁধাই করে বেষ্টনি প্রাচীর নির্মাণ ও খাদেমদের থাকার জন্য সেমিপাকা টিন শেড তৈরী করেছেন। গাজী কালু চম্পাবতীর সাথে দক্ষিণা রায়ের কবরও এখানে রয়েছে।
বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালম আজাদ জানান, ঐতিহাসিক স্থান গাজী-কালু ও চম্পাবতীর মাজার। এখানে অনেক ভক্ত সাধক আসে প্রতিনিয়ত। ১৯৯১ সালে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাজারটি সংরক্ষণ করা হলেও লোকজেনের বসার জন্য ছিল না কোন স্থান। এছাড়াও প্রতি বছর এখানে ওরস ও মেলা বসে। এই কথা চিন্তা করে তিনি মাজারের সংলগ্ন একটি পাকা বিল্ডিং তৈরি করেছেন। এছাড়াও মাজারটি সংরক্ষিত করতে চারিপাশে প্রাচীর করে দিয়েছেন। তিনি বলেন প্রতিনিয়ত এখানে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন।
তিনি বলেন, গাজী-কালু ও চম্পাবতীর মাজারের উত্তর পাশে রয়েছে শ্রীরাম রাজার দীঘিটি। চারিপাশে পানি আর মাঝখানে দ্বীপ। এখানে আসলে মাজার দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে দীঘিটির সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।