ঝিনাইদহে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে কুপিয়ে হযরত আলী নামে এক যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তিনজনকে যশোরে রেফার্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- উপজেলার ৫নং শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বড় শিমলা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে হযরত আলী, আমজাদ আলীর ছেলে জামির হোসেন ও জহির হোসেন এবং বাদু মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের স্কুল মাঠের কোনায় বসে ছিল হযরত আলী। এ সময় গ্রামের আসাদুল ইসলাম, সোহেল হোসেন ও ফজেরসহ কয়েকজন এসে তার উপরে হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে হযরত আলী স্কুল মাঠের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় সেখানেও হামলা চালায় তারা। হযরতকে ঠেকাতে এগিয়ে এলে জামির, জহির ও জাকিরকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। এসময় কুপিয়ে হযরতের ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে ও দুই পায়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলার সাথে জড়িত ও আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আহত জমির হোসেন জানান, হযরতকে ঠেকাতে গিয়ে তাদের দুই ভায়ের উপরেও হামলা চালানো হয়েছে। হযরতের ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে। দুই পায়ের অবস্থাও খারাপ।
৫নং শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরি জানান, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যারা হামলা করেছে তারা সবাই পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সমর্থক ছিল। আর হযরত আলী ছিল বিজয়ী মেম্বর প্রার্থীর সমর্থক। আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী কর্মী।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আজগর আলী জানান, আহত ৪ জনের মধ্যে তিনজনকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে হযরতের অবস্থা গুরুত্বর। তার ডান হাতের কব্জি কেটে পড়ে গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, একজনের হাতের কব্জি কেটে ফেলার কথা শুনেছি। হামলার ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।