ঝিনাইদহের চোখ-
মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন মফিজ শেখ (৬৫)। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এর ঠিক তিনদিন পর শনিবার হাসপাতালে লিফটের আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ঘটনাটি যশোর বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান পঙ্গু হাসপাতালের। নিহত মফিজ শেখ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে। দির্ঘদিন ধরে সে কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ার নিজ বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। বড় ছেলে জার্মান প্রবাসি এবং ছোট ছেলে কালীগঞ্জ শহরের একটি কলেজে একাদ্বশ শ্রেণিতে পড়ছে। এ ঘটনায় ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার নিহতের ছেলে শেখ সোয়েব উদ্দীন বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেন।
মরদেহ উদ্ধারের পরপরই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সিআইডি ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেসরকারী ওই হাসপাতালে তিনজন স্টাফ ও স্থানীয় কয়েক সন্দেহভাজন যুবককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও পুলিশ এ হত্যাকান্ডকে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত ধরেই তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
নিহতের স্ত্রী তরু বেগম জানান, গত ২৭ মার্চ শাশুড়ি তান্ডু বিবি’র কোমরের সমস্য নিয়ে যশোর রেল রোডে পঙ্গু হাসপাতালের ৭ তলায় ভর্তি করা হয়। ২৮ মার্চ তার অপারেশন করা হয়। এরপর প্রতিদিনই আমি এবং আমার স্বামী মফিজ শেখ মাকে দেখতে আসতাম। ৩১ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে আমি এবং আমার স্বামী মফিস শেখ মাকে দেখতে হাসপাতালে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আমার স্বামী মফিজ শেখ বলে নিচে থেকে ওষুধ কিনে হাসপাতালের কাউন্টারে কিছু টাকা জমা দিয়ে আসি। এরপর সে আর পিরে আসেনি। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় যশোর সদর থানায় একটি জিডি করা হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়নি এখনো। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। খুব দ্রæতই হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন হবে।
তবে, বেসরকারী ওই হাসপাতালটির মালিক ডাক্তার এএইচএম আব্দুর রউফ বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে নিজেও অন্ধকারে আছেন। তবে পুলিশি তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে আশা তার।