কালীগঞ্জ

কালীগঞ্জে পুলিশের উপহারের বাড়ি পেলেন ষাটোর্ধ্ব সায়রা বেগম

ঝিনাইদহের চোখ-
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দুটি মানবিক উদ্যোগ গৃহীত হয়। যার প্রথমটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষে প্রতিটি থানায় ১ টি করে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন ও দ্বিতীয়টি হলো অসহায় নাগরিকদের জন্য গৃহ নির্মাণ।

বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দেশের প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে ।

আর গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ উদ্যোগের অধীনে প্রথম পর্যায়ে ৪০০ জন গৃহহীন ও অসহায় হতদরিদ্র নাগরিককে আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব টেকসই বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না; প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সহায়ক হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ’র পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় হতদরিদ্র পরিবারকে একটি করে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ পুলিশ।

এআইটি বুয়েট কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিটি বাড়ি নির্দিষ্ট মাত্রায় ভূমিকম্প সহনশীলতা এবং অগ্নি প্রতিরোধে সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামে নির্মিত বাড়িটি ঝিনাইদহ জেলার তত্ত্বাবধানে কালীগঞ্জ থানা তৈরি করে দেয়। নির্মিত এই বাড়িটি প্রদান করা হয় ভূমিহীন নিঃস্ব থানাপাড়ার বাসিন্দা সায়রা বেগমকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে একযোগে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের এই দুই মহতী উদ্যোগের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রোববার। এই উপলক্ষে গণভবনের অনুষ্ঠানের সাথে ভার্চুয়ালি কালীগঞ্জ থানা থেকে যোগদেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার (সদর সার্কেল), কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্লা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে উপজেলার শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামে ২ শতাংশ জমির ওপর এই বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িটিতে রয়েছে দুইটি শোবার ঘর, রান্নাঘর, খাবারঘর, বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য টিউবওয়েল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ। সুন্দর ছিমছাম গোছানো পুলিশের দেওয়া উপহারের এই বাড়িটি পেয়ে সায়রা বেগমের মুখে অন্যরকম এক আনন্দের আভা প্রস্ফুটিত হয়। প্রতিক্রিয়ায় সায়রা বেগম জানান, সারা জীবনেও একটি মাথাগোঁজার ঠাঁই করতে পারি নাই। আমার পুলিশ বাবারা আমাকে একটা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে। আজকে আমার কিযে আনন্দ লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করে বলতে পারছিনা। অপরদিকে কালীগঞ্জ থানা ভবনের প্রবেশমুখে নতুন ভবনে নারী-শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন করায় কালীগঞ্জের এই চার শ্রেণির সেবা প্রার্থীরা থানা থেকে আরও উন্নত মানের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে নিঃস্ব গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পটি অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। এই প্রকল্পে নিজ অর্থায়নে আমার বাড়ির পাশেই ২ শতক জমি ক্রয়পূর্বক সায়রা বেগমকে দান করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এই মহতী উদ্যোগে শামিল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button