কালীগঞ্জটপ লিড

চাকরি হারিয়ে পিঠা বিক্রেতা কালীগঞ্জের রবিউল

ঝিনাই‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌দহের চোখ-
৪ মাস আগে চাকরিচ্যুত হলে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। এখন তিনি রাস্তার পাশে বিক্রি করছেন শীতকালীন পিঠা। দোকান বসেছে বেশ কয়েকটি। পিঠা বিক্রি করতে তেমন কোনো বেগও পেতে হচ্ছে না এ সকল ভ্রাম্যমাণ মৌসুমি পিঠা বিক্রেতার। কিন্তু শীত শেষে আবারও হয়তো তাদের খুঁজতে হবে নতুন কোনো জীবিকা।

ঢাকায় একটা কনস্ট্রাকশন ফার্মে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন কালীগঞ্জের রবিউল। করোনার কারণে ফার্মে বেশি কাজ হচ্ছিল না। পরে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। জীবিকার তাগিদে তিনি হয়ে যান পিঠা বিক্রেতা। বসেছে সান্ধ্যকালীন মৌসুমি পিঠার দোকান।

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বাজার, রাস্তার মোড়সহ জনবহুল এলাকায় এই ধরনের পিঠার দোকান। করোনার কারণে চাকরি চলে গেলেও বসে নেই সংসারের খরচ। সাংসারিক খরচ চালিয়ে জীবন বাঁচাতে ব্যবসা করছেন শীতকালীন ভাপা ও চিতোই পিঠার। যা রোজগার হয় তা দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই চলছে পিঠা বিক্রেতা রবিউলের।

প্র্রতিদিন ৭ থেকে ৮ কেজি চালের গুঁড়ার পিঠা বিক্রি করেন। প্রতি ১ কেজি চালের গুঁড়ায় পিঠা হয় ২৮ থেকে ৩০টি। এর ক্রেতা পথচারীরাই বেশি। অনেকে বাড়িতেও নিয়ে যান। প্রতি পিস পিঠার দাম ৫ টাকা। আটা, গুড় এবং জ্বালানি ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই।

কথার মাঝে পিঠা বিক্রেতা আড়পাড়ার রবিউল জানান, ঢাকায় একটা কনস্ট্রাকশন ফার্মে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন তিনি, কাজটি ছিল চুক্তিভিত্তিক। করোনার প্রভাবে কাজ বেশি হচ্ছিল না। বাসাভাড়া দিয়ে সন্তানাদি নিয়ে সেখানে কষ্টে ছিলেন। ছেলেটার স্কুল আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button