ঝিনাইদহ থেকে গ্রেফতার হলো বিত্তবানদের টার্গেট করা দুই তরুনী প্রতারক
ঝিনাইদহের চোখ-
ফরিদপুরে ডাবের পানির সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে একটি সোনার দোকান থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির মামলায় দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার দুই নারী হলেন- ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গাজিরটেক ইউনিয়নের চরসুলতানপুর গ্রামের কাজল আক্তার সোহানা (২৫) ও একই ইউনিয়নের চরআমরাপুর গ্রামের রিমি আক্তার (২২)।
বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহরের নিলটুলী মহল্লার তারকেশ্বর জুয়েলার্সের মালিক শংকর দত্ত (৫০) এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ওই দুই নারীসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই দুই নারী মাঝে মধ্যে তার দোকানে আসতো। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে দোকানে এসে সোনার চেন কেনার কথা বলেন এবং বিভিন্ন ধরনের চেন সম্পর্কে জানেন। পর দিন সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই দুই নারী দোকানে ঢুকে শংকর দত্তকে কৌশলে ডাব খাইয়ে তাকে অচেতন করে দোকান থেকে ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে চলে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এস আই সুজন বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোহানাকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া পাঁচটি চেইন উদ্ধার করা হয়। পরে সোহানার দেওয়া তথ্যমতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কমলাপুর মহল্লার ডিআইবি বটতলা এলাকা হতে রিমি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তকালে জানা গেছে, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা ফরিদপুর শহরে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থেকে বিত্তবান বিভিন্ন লোকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে, অশ্লীল ছবি তুলে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ চুরি মাদক ও নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত ছিল। সোহানার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মাদকসহ দুইটি মামলা রয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ওই দুই নারীকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।