হত্যা মামলার চার আসামীকে গ্রেফতার করলো ঝিনাইদহ র্যাব
ঝিনাইদহের চোখ-
গত ০৯ ইং মে ২০২২ রাত আনুমানিক ২৩০০ ঘটিকায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন জেহালা বাজারের প্রতিঞ্জা নাসিং হোমের সামনে মো: কামাল হোসেন(৬৫),পিতা-মৃত: জাহান আলী, সাং-জেহালা, থানা- আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাকে কতিপয় দুর্বৃত্তরা অতর্কীত ভাবে হামলা চালায় ও তাকে গুরুতর ভাবে পিটিয়ে কানে মাথায় এবং পায়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। গুরুতর অবস্থায় ভিকটিম কামাল হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিrসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এই নৃশংস ঘটনাটি স্থানীয় জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হবার সাথে সাথেই র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামীদের চিহিৃতকরন ও গ্রেফতারে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মে ২০২২ রাত ২২৩০ ঘটিকায় র্যাব-৬, ঝিনাইদহের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে,উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ০৪ জন আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত করে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি রাত ১২৩০ ঘটিকার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন মুন্সিগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারে অভিযুক্ত অন্যতম পলাতক আসামী ১। রফিক (৫০),পিতা-মৃ: আলা উদ্দিন, ২।মো: বিমান(৫১),পিতা-মৃ: আলফাজ উদ্দিন, ৩। তরিকুল ইসলাম(৩৮),পিতা-তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, সর্ব সাং মুন্সিগঞ্জ, ৪। সাজ্জাদুর ইসলাম স্বপন(৪৭),পিতা-মৃ: ওবায়দুল ইসলাম খান, সাং হারদী, সর্ব থানা: আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। আসামী স্বাধীন ও স্বপন ভিকটিম মৃত কামাল হোসেন কে জরুরী কথা আছে বলে বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অটোচালক মোস্তফার ভাষ্যমতে আসামী স্বাধীন এর শ্বশুর বাড়ীর প্রধান ফটকের সম্মুখে মামলার বাদী ভিকটিম কামাল হোসেন কে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখতে পায় এবং তাহার বুকের উপর একটি সাইন বোর্ড যাহার উপর লেখা ছিল এই জমির মালিক ওয়ারিশ সূত্রে মোমিনা খাতুন, জমির পরিমান ১৫.২৫ শতক যাহা যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে মামলা নং ২৮/২০ এবং বর্তমান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের মামলা নং ১৪৩/২১ বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে পাশের প্রতিজ্ঞা ক্লিনিকে নিয়ে যায়, ক্লিনিকে ভিকটিম তার স্ত্রী অত্র মামলার বাদীকে ক্ষীন কন্ঠে বলেন যে, স্বাধীন, রফিক , স্বপন, স্বাধীনের বউ, শ্বাশুরী, শালী ও জমিজমা কেসের সবাই আমাকে মেরেছে। আমি মনে হয় বাচবোনা। তার পর ভিকটিমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করিলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিrসক মৃত ঘোষনা করেন।