মাহবুব মুরশেদ শাহীন, হরিনাকুন্ডু, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে টিন এজারদের বিপথগামীতা রোধে মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটছেন হরিনাকুন্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। ইতোমধ্যে হরিনাকুন্ডু পৌর এলাকার হরিনাকুন্ডু পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ, জোড়াপুকুরিয়া মান্দারতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতামূলক সভা করেছেন।
নবম দশম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ রোধে শপথ করানোর মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার আহ্বান জানাচ্ছেন।
অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাদক, বাল্যবিয়ে, পালিয়ে বিয়ে করা, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং ইত্যাদি চলমান সামাজিক অবক্ষয় জনিত সমস্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তোমাদের সাথে কথা বলছি। দিন দিন এসব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। সবার আগে নিজের এবং পরিবারের ভালো বুঝার বিষয়ের প্রতি তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, এসো আমরা সবাই শপথ করি- কখনো প্রেম করে পালিয়ে যাবো না, পরিবারকে কষ্ট দেবে না। ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, অসম প্রেম, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের পলায়ন সমাজে ব্যাধি হিসেবে যেনো রুপান্তরিত না হয়, এ কারণেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের মোটিভেশনাল প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, আইনে বাল্য বিবাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
যেকোনো মূল্যে এটা প্রতিরোধ করতে হবে। বাল্যবিবাহ একটি মেয়ের বড় হওয়ার পথে সবথেকে বড় অন্তরায়। অপ্রাপ্ত বয়সে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে অপ্রত্যাশিত নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সবাইকে বোঝাতে হবে, লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরই মেয়েদের বিয়ে করা উচিত। তাই এমন সচেতনামুলক প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।
