কালীগঞ্জে মাল্টা চাষ করে সফল মসজিদের ইমাম
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙা গ্রামের মাওলানা মামুনুর রশিদ। তিনি একটি মসজিদের ইমাম। ইমামতি করে যা আয় হয় সেটি দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। হালাল উপার্জনের জন্য কিছু একটা করবেন ভাবছিলেন। এর পর সিদ্ধান্ত নেন মাল্টা চাষ করবেন। অন্যান্য ফল চাষে কমবেশি ঝুঁকি থাকলেও মাল্টা চাষ সুবিধাজনক।
জানা গেছে, উপজেলার নলভাঙা গ্রামে অন্যান্য ফলের চাষ হলেও মাল্টা চাষ এবারই প্রথম শুরু করেছেন মাওলানা মামুনুর রশিদ। দুই বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করেছেন তিনি। প্রথম মাল্টা চাষ করে সফলও হয়েছেন তিনি। বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর ফল ধরেছে।
মাওলানা মামুনুর রশিদ জানান, তিনি পাশের একটি গ্রামের মসজিদে ইমামতি করেন। সেখান থেকে যা আয় হয়, সেটি দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। হালার উপার্জনের জন্য বেছে নিয়েছেন মাল্টা চাষ। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে শুরু করেছেন মাল্টা চাষ। তিন বছর আগে চৌগাছার একটি নার্সারি থেকে তিনি প্রথম মাল্টার চারা আনেন। জমিতে ২৪০টি বারি-১ জাতের চারা লাগান। অনেকেই আবার পয়সা মাল্টা নামে চেনে। প্রতিটি গাছে প্রচুর মাল্টা ধরেছে। এ পর্যন্ত তার প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর তিনি প্রায় ১০০ মণ ফল পাবেন বলে আশা করছেন। প্রথম বছরেই তিনি তিন লাখ টাকার বেশি মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য আবাদের তুলনায় মাল্টা চাষ সুবিধাজনক ও ঝুঁকিমুক্ত। অন্যান্য চাষ ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাল্টা চাষে তেমন ক্ষতি হয় না। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় তিনি এ চাষে ঝুঁকেছেন। তিনি বিক্রির জন্য প্রায় ৩০ হাজার মাল্টার চারা প্রস্তুত করেছেন।
নলভাঙা গ্রামের স্কুলশিক্ষক আলী মোর্তুজা রেজা ফিটু জানান, গ্রামে প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করেছেন মাওলানা মামুনুর রশিদ। এর আগে কেউ মাল্টা চাষ করেনি। তার বাগানে প্রচুর মাল্টা ধরেছে। সাইজও বেশ বড়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শিকদার মো. মোহায়মেন আক্তার জানান, উপজেলায় ছোট-বড় ৭৭টি মাল্টার বাগান আছে। মোট ২০ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এই উপজেলায় কমলার থেকে মাল্টার চাষ ভালো হয়।