ক্ষেতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কালীগঞ্জের বর্গাচাষী আজগর
সাবজাল হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
মাঠে নিজের জমি এক ছটাকও নেই। তাই পরের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন আজগর আলী। এ বছরও তিনি ফয়লা গ্রামের সাইফুদ্দিন মিয়ার ৪ বিঘা জমি বছরে ৪০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে কুলগাছ রোপন করেছিলেন। মোট ক্ষেতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচের পর গাছগুলো লাভের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্ত রাতের আধারে সেই কুল গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হয়েছে। পরের দিন সকালে ক্ষতি দেখে ক্ষেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হতদরিদ্র এ কৃষক। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ভাটপাড়া গ্রামের মাঠে। ক্ষতিগ্রস্থ আজগর আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কৃষক আজগর আলী জানান, জমিটির সীমানা নিয়ে তার জমির মালিকের সঙ্গে পাশর্^বর্তী ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ইসমাইলের ৩ ছেলে ক্ষেতের ফসলের লাগাতরভাবে ক্ষতি করে আসছে। সবশেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের আধারে ৩ শতাধিক বাড়ন্ত কুলগাছ কেটে দিয়েছে তারা। এর আগে এ জমি নিয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হয়েছে। কিন্ত ইসমাইলের ছেলেরা দুষ্ঠু প্রকৃতির হওয়ায় কোন বিচার মানে না। বার বার এ ক্ষেতের ফসলের ক্ষতি করে। কিন্ত এবারের ক্ষতিটি সবচেয়ে বড় হওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষেত মালিক আজগর আলী।
যদিও পাশ্ববর্তী জমির মালিক ইসমাইল হোসেন জানান,ছাগল নিয়ে বিরোধ থাকার কারনে ছাগল বিক্রি করে দিয়েছি। কুলক্ষেতের পাশেই আমার বসতবাড়ি। আমার জমি পরিমাপ করে কম হচ্ছে। এ জন্য আমি বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করেছি। কিন্ত ভরাক্ষেত নষ্ট করার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান ওদু জানান,জমি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান করতে বসলে ইসমাইল সবকিছু মেনে নিলেও পরে আবার গোলমালে জড়িয়ে পড়ে।
কালীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্যা জনান, ক্ষেত কেটে দেয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন। তিনি বলেন, কৃষকের ক্ষেত নষ্ট মেনে নেওয়া যায় না।