দেশের সর্ববৃহৎ বেঁদে পল্লী ঝিনাইদহে ।। ভবঘুরে জীবণের অবসান ৫৯ বেঁদে পরিবারের
ঝিনাইদহের চোখ-
পলিথিন আর বাঁশ দিয়ে অন্যের জমিতে যেখানে-সেখানে ঘর বেঁধে বসবাস করেন। আবার কয়দিন পরে অন্য স্থানে চলে যায়। নিজেদের বাচ্চাদের ঠিকমতো পড়ালেখার ব্যবস্থা হয় না। কিন্তু সবকিছু বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। এখন আমরা পাকা ঘরে থাকতে পারবো। কথাগুলো বলছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার বেঁদে পল্লীর কাঞ্চন বিবি।
কাঞ্চন বিবির মতো ৫৯টি বেঁদে পরিবার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে তৃতীয় ধাপে জমি ও বাড়ি উপহার পাচ্ছেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে বাওড়ের পাশে নিরিবিলি স্থানে তৈরি করা হয়েছে ঘরগুলো।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে তৃতীয় ধাপের ২য় পর্যায়ে ঘরগুলো প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরগুলোর চাবি গৃহহীনদের কাছে তুলে দেওয়া হবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে ২টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর ও একটি টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গভীর নলকূপের ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনের উদ্যোগে ৫৯টি পরিবারের শিশুদের জন্য খেলার স্থান করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রাইড স্থাপন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৩১টি গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেঁদে সম্প্রদায়ের জন্য ৫৯টি ঘর রয়েছে। বেঁদে সম্প্রদায়ের পরিবারদের জন্য এটিই প্রথম উদ্যোগ।
বেঁদে পল্লীর ফুলমতি বেগম জানান, তিনি কখনো পাকা ঘরে ঘুমাবেন সেটি ভাবতে পারেননি। নতুন ঘর ও জমি পেয়ে তিনি খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেঁদে পল্লী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দৃষ্টান্ত। নৌকায় ভেসে যাদের জীবন কাটতো তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় আনতে এ উদ্যোগ। ৫৯টি বেঁদে পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ঘর।