ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে ৯ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী দীঘি খাতুন উপজেলার ষাটবাড়িয়া আলিম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও গয়েশপুর গ্রামের আজগার আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৭দিন আগে ষাটবাড়িয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ৯ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে একই মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি, সাঈদ ও জীবন। এ সময় ওই ছাত্রীর গায়ে একটি বোতলে মুত্র ত্যাগ করে শরীরে নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ছাত্রীর বাবাকে মারধর করে তারা। এরপর বিষয়টি গ্রামে মীমাংসা করতে সোমবার বিকেলে স্থানীয়দের নিয়ে বসার কথা ছিল। হঠাৎ সোমবার সন্ধ্যায় গয়েশপুর গ্রামের মাঠে জমি চাষের সময় জামির, ইমাম হোসেন, সাঈদ, রাব্বি ও জীবনসহ ৭/৮ জন চাচা আফজাল হোসেনকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি মাদ্রাসা ছাত্রীর চাচা আফজাল হোসেন জানান, গত ৭দিন আগে তার ভাইজিকে উত্ত্যক্ত করে রাব্বি, সাঈদ ও জীবন। এ ঘটনায় তার ভাই প্রতিবাদ করলে ঘটনার দিন তাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। এরপর সোমবার স্থানীয়দের নিয়ে বসার কথা ছিল। হঠাৎ মাঠে কাজ করার সময় তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এতে তার হাত ভেঙে যায়।
মেমেয়টির বাবা আজগার আলী জানান, মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাব্বি, সাঈদ ও জীবন নামের কয়েকজন ছেলে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে। এরপর তারা একটি বোতলে মুত্র ত্যাগ করে শরীরে নিক্ষেপ করে। মেয়ে বাড়ি এসে কান্নাকাটি করলে তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করতে যান। এসময় তাকে মারধর করা হয়। বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে জানালে তিনি গ্রামে বসা-উঠা করে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকেলে স্থানীয়দের সাথে বসে মীমাংসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাঠে কাজ করার সময় তার ভাইকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। বর্তমানে সে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিবেন বলেও জানান।
ষাটবাড়িয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ইমরানুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে। মাদ্রাসার বাইরের ঘটনা তিনি কিছু করতে পারবেন না। মাদ্রাসার বাইরে ঘটনা ঘটায় তিনি গ্রামের মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। ওই ছাত্রদেরকে ডেকে তিনি যতটুকু শাসন করার করেছেন। তবে আজকের মারধরের ব্যাপারে তিনি জানেন না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ ব্যাপারে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।