আজ ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান মনির খান’র জন্মদিন
ঝিনাইদহের চোখ-
ঠিক ৫০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান। কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া এই সংগীতশিল্পীর ৫০তম জন্মদিন আজ।
‘অঞ্জনা’ খ্যাত এই শিল্পী পরিবারে এক বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় এবং ভাইদের মধ্যে বড়। তার মা মোছা. মনোয়ারা খাতুন একজন গৃহিণী এবং বাবা মো. মাহবুব আলী খান স্কুলশিক্ষক।
মনির খানের শিক্ষাজীবন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়। তারপর হাকিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর বহরাম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। ১৯৮৭ সালে এসএসসি এবং ১৯৯০ সালে কোটচাঁদপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করেন। এরপর একই কলেজ থেকে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এই শিল্পী।
মনির খানের বাল্যকাল গ্রামে কেটেছে। সেই সময় থেকেই সংগীতের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। স্থানীয় পর্যায়ে গান শিখলেও সংগীতের হাতেখড়ি হয় রেজা খসরুর থেকে। তারপর চক্রবর্তী, ইউনুস আলী মোল্লা, খন্দকার এনায়েত হোসেনসহ অন্যান্যদের থেকে সংগীতের তালিম নেন।
১৯৯৬ সালে ‘তোমার কোন দোষ নেই’ একক অ্যালবামের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন মনির খান। তবে এর আগে বেতারসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়মিত গান পরিবেশন করেছেন তিনি। প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর রাতিরাতি খ্যাতি লাভ করেন তিনি। একই সঙ্গে অ্যালবামটি হিট হওয়য় আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
সংগীতে আত্মপ্রকাশের পর মার্জিত ও সাবলীল ভাষায় শ্রোতাদের আবেগ-অনুভূতি ও হৃদয়ের কথা তুলে ধরছেন এই শিল্পী। গানের কথা আর সুরের জাদুর কারণে দীর্ঘ ২৬ বছরে শ্রোতামহলে একটুও ঘাটতি হয়নি জনপ্রিয়তার। আর নিয়মিত শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনে ‘অঞ্জনা’ শিরোনামের গান তো রয়েছেই।
এ পর্যন্ত ৪৩টি একক অ্যালবাম, তিনশতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবাম এবং চারশটিরও বেশি সিনেমার গানে কণ্ঠ কণ্ঠ দিয়েছেন মনির খান। পাশাপাশি কয়েকশতাধিক একক মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
সংগীত ক্যারিয়ারে এই শিল্পী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশ থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। আর ব্যক্তিজীবনে স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছেন মনির খান।