ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সড়কে বাঁশ দিয়ে গতিরোধ করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সদস্যরা। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের সুগার মিল-রেলস্টেশন সড়কে। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রায় সবাইকে মারধর করে। ছিনতাইকারীদের মারধরে আহত একজনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দুপুরের পর খবরটি এলাকায় চাউর হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মোটরসাইকেলে প্রথমে দুইজন ব্যক্তি যাওয়ার পথে তাদের গতিরোধ করা হয়। এ সময় পরপর তিনটি মোটরসাইকেল থামিয়ে রাখা হয়। এরপর তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা ৬ জনকে হাত-মুখ বেঁধে পাশের একটি আখক্ষেতে নিয়ে মারধর করা হয়। এরমধ্যে একজন পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দ্রæত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।
ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ৬ ব্যক্তিরা হলেন- শহরের আড়পাড়া এলাকার সোহান উদ্দিন, হাসানুজ্জামান, বাড়েডিহি এলাকার আলী হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ঈশ^রবা এলাকার মাসুদ হোসেন ও তার ফুফাতো ভাই কাজল হোসেন।
আড়পাড়া এলাকার সোহান হোসেন জানান, রাতে সুগার মিলের পিছন দিয়ে আসার পথে ৭/৮ জন মানুষ তাদের গতিরোধ করে। তাদের দুইজনের হাতে দুইটি পিস্তল ছিল। এছাড়াও দা ও লাঠি ছিল। এ সময় তারা পিছনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি। এরপর আমাদের ধরে তাদের মোটরসাইকেল বাগানের মধ্যে ফেলিয়ে দেয়। এরপর তিনি তার ছোট চাচাকে গোপনে ফোন করেন। তার ছোট চাচা পুলিশকে জানালে দ্রæত পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
ছিনতাইকারীর মারধরে হাসপাতালে ভর্তি মাসুদ হোসেন জানান, ঈশ^রবা থেকে এশার নামাজের পরে ওই পথ দিয়ে তিনি ও তার ফুফাতো ভাই যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখেন বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া। প্রায় সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এরপর তারা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এরপর মারতে মারতে আখক্ষেতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর খুব কষ্ট করে তাদের হাত থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, শুক্রবার রাতে এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। দ্রæত পুলিশী তৎপরতায় চক্রের সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারেননি। চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।