রাবি গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রথম-দ্বিতীয় ঝিনাইদহের সজল-সাদিয়া
রানা আহম্মেদ অভি, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ থেকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিস্ময়কর ফলাফল করেছে। এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটের তৃতীয় সিফটে প্রথম হয়েছে উপজেলার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী সজল আহম্মেদ (সজল)। অন্যদিকে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৯.২৫ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন সাদিয়া নুসরাত স্নিগ্ধা।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান করা সাদিয়া নুসরাত স্নিগ্ধা বলেন, যা পেয়েছি সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। সবার প্রথমে আমার পিতা-মাতা, শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ ও ভর্তি সহায়ক কোচিং বিপুল’স কেয়ারের শিক্ষকবৃদন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, জীবনের এ পথচলায় প্রতিটি শিক্ষকের মূল্যবান উপদেশগুলো বটবৃক্ষের মতো আমাকে আগলে রেখেছে । দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর রাজশাহী ও গুচ্ছতে পরীক্ষা দিয়ে অসাধারণ ফলাফল করেছি। আমি আমার পরিবারের পছন্দের রাজশাহী আইনে ভর্তি হতে চাই।
রাবিতে তৃতীয় সিফটে প্রথম সজল আহম্মেদ বলেন, সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। ঢাবিতে ও রাবির এ ইউনিটে আমি তেমন ভালো ফলাফল করতে পারিনি সে জন্য ভাগ্যকে দোষারোপ করেছিলাম। এরপর বি ইউনিটে ফরম তুলে সেখানে যে এত ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো কখনো ভাবতেই পারিনি। আমি এ সাফল্যের জন্য পরিবারের অনুপ্রেরণার পর সবচেয়ে স্থান দেব আমারে কলেজের সকল শিক্ষাক ও অ্যাড. বিপুল আমরান স্যারকে। আমি আমার সম্মানিত স্যার ও কিছু বন্ধুদের কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। যাদের উৎসাহে আমার এই অর্জন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহায়ক প্রতিষ্ঠান বিপুলস কেয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অ্যাড. বিপুল আমরান বলেন, রাবিতে প্রথম ও গুচ্ছে দ্বিতীয় হওয়া সজল- সাদিয়া নুসরাত স্নিগ্ধা শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। তাদের উভয়ের সাফল্য কামনা করি। ভবিষ্যতে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে সিজেদের সমর্পিত করবে এই আশাই করি।
শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন বলেন, এবারে সজল আহম্মেদ ও সাদিয়া নুসরাত স্নিগ্ধার ফলাফল জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। মূলত এমন কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্যই ফলাফলের দিক থেকে বার বার উপজেলার সেরা কলেজ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের নিবিড় পর্যবেক্ষণের কারণে আমাদের এ শিক্ষার্থীদের এ অসামান্য অবদান বলে মনে করছি। আমাদের শিক্ষকেরা ব্যাচে ব্যাচে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে রাখেন।