ঝিনাইদহে কনক কান্তিকে জয়ী করতে আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা
ঝিনাইদহের চোখ-
আগামী ১৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বাবু কনক কান্তি দাসকে বিজয়ী করতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের হামদহে বাবু কনক কান্তি দাসের নিজ বাড়ির সামনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমী, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ শফিকুল আজম খান চঞ্চল, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার, ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসন-২৭ এর সাংসদ ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা খালেদা খানম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন, জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এসএম আনিছুর রহমান খোকা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জজ কোর্টের পিপি এ্যাড ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এই নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন মকবুল হোসেন ও এসএম আনিছুর রহমান খোকা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করলে তারা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে সম্মত হন।
ঝিনাইদহ জেলায় ৯৫৪ জন ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর আগে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ের কারণে দলীয় নেতা ও এমপিদের উপর ঊর্ধ্বতন চাপ বেড়ে বলে জানাগেছে। যেই কারণে নির্বাচনী আচরণ বিধিতে নিষেধ থাকলেও দলীয় প্রার্থীকে পাশ করা মরিয়া নেতা ও এমপিরা। যার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আশাবাদী এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাস বিজয়ী হবেন।