আপনার বাড়িয়ে দেয়া হাত বাঁচাতে পারে ঝিনাইদহের শাহিনকে
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শাহিন বাঁচাতে চাই, কেউ কি এগিয়ে আসবেন শিরোনামে গত ৮ ই অক্টোবর ঝিনাইদহের সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন “ঝিনাইদহের চোখ” এ সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দেশ- বিদেশ হতে অনেকেই পড়ে হৃদয়বান ব্যাক্তিবর্গ তাদের সাধ্যমত সহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরে কর্মরত সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর স্কুল পাড়ার আশরাফুল ইসলামের (আশা) উদ্যোগে তিনি সহ তার কয়েকজন বন্ধু শাহিনকে চিকিৎসার জন্য ৪২ হাজার ২” শত টাকা পাঠিয়েছেন। তার এই পাঠানো টাকা আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে শাহিনের নিকট প্রদান করেন।
এসময় বাজার গোপালপুর কেন্দ্রীয় জামেমসজিদ এর ঈমাম আব্দুল আজিজ, বিজিপি ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ডা. মোঃ আলতাফ হোসেন, চিত্রা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি আফার তুষার সহ অন্যান্য ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সমাজের বৃত্তবানদের অনেকে মোবাইলে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
শাহিনের স্ত্রী জানান, পরিবারের অসহায় ও দুইটি কিডনি রোগের কথা জানতে পেরে অনেকে বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়ে সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় থেকে এখন পর্যন্ত অনেক লোকজন সাহায্য করেছেন। অনেকে সাহায্য দেবার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমান তার (শাহিনের) চিকিৎসার জন্য প্রতি সপ্তাহে দুই বার কিডনির ডায়ালোসিস করাসহ অষুধে জন্য প্রায় ৯ হাজার টাকা ব্যায় হচ্ছে। তিনি নিজের একটি কিডনি তার স্বামীকে দিয়ে দিতে চান। কিন্তু সেখানেও নাকি ৬ থেকে ৭ লাখ খরচ হবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। এতো টাকা কোথায় পাবেন বা কিভাবেই জোগাড় হবে, নাকি আদো সম্ভব হবে না এমন চিন্তায় রাত- দিন কাটছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, শাহিনের পিতা- শহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর ওই পরিবারে শাহিন একমাত্র আয় উপার্যনকারী ব্যাক্তি। মা, স্ত্রী ও শিশু দুই মেয়ে এবং এক প্রতিবন্ধি বোন নিয়ে সংসার তার। অন্য এক বোনকে বিয়েও দিয়েছেন তিনি। বোনের বিয়ের পর পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে শ্রমিকের কাজ করে বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন রোগের কারণে ভূগছিলেন। কোন রোগ নির্ণয় হচ্ছিল না। অবশেষে দেখা গেছে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত।
তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনি ও মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ সাবেক অধ্যাপক ডাঃ একেএম মনোয়ারুল ইসলামের নিকট চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, তার দুইটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু অর্থের কারণে সেখানে চিকিৎসা নিতে পারেনি।
তিনি লোকজনের সহযোগিতায় যশোর ২৫৯ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উবাইদুল কাদির উজ্জ্বল এর নিকট চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভাগ্যক্রমে কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে পরিবার হারাবেন একমাত্র ব্যাক্তিকে, অসহায় থেকে আরও অসহায় হবেন পরিবারটি।
এমতাবস্থায় চিকিৎসার জন্য সমাজের বৃত্তবানদের নিকট সাহায্য কামনা করেছেন অসহায় পরিবারটি।
সাহায্যে পাঠানো ও যোগাযোগের মাধ্যমে -০১৭০৩/৭০৯৫৯৯ (বিকাশ)।