সাগান্না মৎস্যজীবী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি-সাঃ সঃ- ওয়াজেদ-তোফাজ্জেল
আব্দুল্লাহ আল মামুন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না মৎস্যজীবী কমিটির সভাপতি পদে ওয়াজেদ আলী মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক পদে তোফাজ্জেল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও কোষাধ্যক্ষ পদে মুনতাজ আলী নির্বাচিত হন। রিটার্নিং অফিসার ( সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ) মোঃ গোলাম সরোয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাগান্না মৎস্যজীবী কমিটির ৬৬ জন মৎস্যজীবী (ভোটার) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এসময় নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা , উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মশিউর রহমান, কাতলামারী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই বণী আমীন প্রমুখ।
প্রিজাইডিং অফিসার ( উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার) মোঃ ওলিউর রহমান জানান, এই নির্বাচনে মোট তিনটি পদের বিপরীতে ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন ও কোষাধ্যক্ষ পদে দুইজন। এদের মধ্যে ওয়াজেদ আলী মন্ডল ছাতা প্রতীকের ৩৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজদ্দী মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে তোফাজ্জেল হোসেন মোরগ প্রতীক নিয়ে ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মধুসূদন হালদার কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ ভোট। এছাড়াও কোষাধ্যক্ষ পদে মুনতাজ আলী হরিণ প্রতীক নিয়ে ৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন , তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোকলেসুর রহমান মই প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ভোট।
সদর উপজেলা মৎস্য অফিসারের দেওয়া তথ্য জানা যায়, সাগান্না বাওড় মৎস্যজীবী কমিটির আওতায় ১০০জনের পরিবর্তে বর্তমানে ৬৬জন মৎস্যজীবী আছে। অনান্য সদস্যরা মারা যাবার কারণে নতুন করে কোনো সদস্য করা হয়নি। এই বাওড়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটির সভাপতি, সাধারণ ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়। তাদের মাধ্যমেই বাওড় পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তবে সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন উপজেলা মৎস্য অফিস। এবারে নির্বাচিতরা আগামী দুই বছরের জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন কমিটির সভাপতি ওয়াজেদ আলী মন্ডল জানান, বাওড়ের সকল সমস্যদের সাথে নিয়ে বাওড়ের উন্নয়ন করবো। সেই সাথে বাওড়ের সকল সদস্যদের র জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করবো।