আরিফ মোল্ল্যা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ চোখ-
বেতন বাড়ানোর দাবিতে অফিসের মধ্যেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ঝিনাইদহ- কালীগঞ্জ পোষ্ট অফিসের নৈশ প্রহরী ফরিদ উদ্দীন। বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটি শেষে অফিসের মধ্যে অবস্থান নেন তিনি। সকালে অফিসের অন্য কর্মচারীরা এসে দরজা খুলতে বললেও তিনি দরজা খোলেননি। বেতন না বাড়ানোর কারনে তিনি অফিসের মধ্যেই আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন। তার দাবি সারারাত জেগে দায়িত্ব পালন করে যে বেতন পান তা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের উবর্ধগতির বাজারে ঠিকমত পরিবারের খরচ মেটাতে পারেন না। এর চেয়ে মৃত্যুই তার জন্য ভালো বলে বলতে থাকেন। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এসে অফিসের দরজা খুলে নৈশ প্রহরীকে বের করে।
নৈশপ্রহরী ফরিদ জানান, সরকারীভাবেই আমার নিয়োগ। চাকুরী প্রায় আড়াই বছর হয়েগেছে। বেতন মাত্র ৪ হাজার টাকা। আমার সংসারে মোট ৭ জন সদস্য রয়েছে। এ টাকায় আমি চলতে পারি না। তিনি আরও বলেন, ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই। দ্র্্যমূল্যের উবর্ধগতির বাজারে রোগ শোকসহ সংসারের যাবতীয় খরচ মেটাতে পারিনে। এরচেয়ে একজন মানুষের মৃত্যুই ভালো। তার দাবি সরকারী অন্য দপ্তরের নৈশপ্রহরীরা যে বেতন পান আমাদেরও একই রকম দিতে হবে।
এ ব্যাপারে পোষ্ট মাষ্টার আব্দুল মালেক জানান,বৃহস্পতিবার ভোরে প্রথমে পরিচ্ছন্নকর্মি এসে দরজা খুলতে বললেও দরজা খোলেননি বরং অফিসরুমের ফ্যানে নিজের মাফলার জড়াতে থাকেন। এরপর আমাকে জানালে আমি দ্রুত অফিসে এসে তাকে দরজা খোলার অনুরোধ করি। কিন্ত দরজা না খুলে ভিতরেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে অফিসের সকলকে চমকে দেন। পরে উপরি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বিষয়টি কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত ককরেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বের করে আনে।
পোষ্ট মাষ্টার আরও বলেন, বেতন বাড়ানোর এখতিয়ার আমার নেই। তবে দ্রব্যমূল্যের উবর্ধগতির বাজারে নৈশপ্রহরীর মাত্র ৪ হাজার টাকা বেতনে কিছুই হয় না। কিন্ত যে পন্থায় বেতন বাড়াতে তিনি যা করলেন তা কারও কাম্য নয়।