ভেড়া চাষে সফল কোটচাঁদপুরের রায়হান
রেজাউল ইসলাম, কোটচাঁদপুর, ঝিনইদহ চোখ-
প্রথমে শখের বশে ও পরে বানিজ্যিক ভাবে ভেড়া পালন করে সাড়া ফেলেছেন সৌদি ফেরৎ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার অজপাড়াগাঁ খ্যাত শাহাপুরের রায়হান । ভিন্নধর্মী এই পশুর খামার এখন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার। মানুষ দেখতে আসছেন কিভাবে ভেড়ার খামার করে সফল হওয়া যায়।
জানাযায়, কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে শাহাপুর গ্রাম। এই গ্রামের খামারি রায়হান । তিনি দেশি জাতের ছাগলের সঙ্গে পালন করছেন ভেড়া । ছোট-বড় মিলে তার খামারে ১০৪টি ভেড়া রয়েছে। ছাগল ও ভেড়া দেখাশোনার জন্য খামারে চারজন লোক মাসিক বেতনে কাজও করছেন।
খামার মালিক রায়হান জানান, ১১ মাস আগে ইন্টারনেটে ভেড়া বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখি। শখ মেটাতে প্রবাসী ছেলে নয়টি ভেড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা টাকা দিয়ে কিনে দেন। ৬ মাসের মাথায় বাচ্চা দেওয়া শুরু করে ভেড়া গুলো। এখন খামারে ১০৪টি ভেড়া রয়েছে। ১৬ টি রয়েছে গাভীন ভেড়া।
তিনি আরও বলেন, ভেড়ার পাশাপাশি খামারে রয়েছে দেশীয় ও উন্নত জাতের ছাগল। শখের খামার এখন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করছেন তিনি। ছাগল ও ভেড়ার পাশাপাশি গরুর খামার করারও ইচ্ছা আছে রায়হানের ।
তিনি আরো জানান, ভেড়াগুলো ভুসি ও কাঁচা ঘাস খায়। রোগবালাই নেই বললেই চলে। আকারভেদে বিক্রি হয় ১০/১৫/২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভেড়ার পাশাপাশি ২৭টি দেশি জাতের ছাগলও আছে খামারে। প্রতিদিন শ্রমিক, পশুখাদ্য দিয়ে ব্যয় হয় ৩ হাজার টাকা। অত্র এলাকায় প্রথম ভেড়া খামারি তিনি। বিশ্বব্যাপী ভেড়ার গোস্ত ও চামড়ার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক, যার ফলে ভেড়ার দামও অনেক বেশি। যদি কেউ করেন তবে খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সৌদি প্রবাস ফেরৎ রায়হান এখন ভেড়া চাষে স্বল্প সময়ে সাবলম্বী হয়েছেন। প্রবাস জীবন তাঁর ভাল লাগিনি।
রায়হান জানান সৌদিতে তিনি দুম্বা চড়াতেন। সেখান থেকে সে স্বপ্ন বোনতে থাকতে যে দেশে দুম্বার ন্যায় ভেড়া / ছাগল/ গরু চাষ করবেন। রায়হান জানান বিদেশে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, নিজের দেশে মেধা ও শ্রম কাজে লাগিয়ে দ্রুত সফলতা অর্জন সম্ভব ।